ইসমাঈল আযহার: [২] রোজার গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে– নম্রতা ও ভদ্রতা। যা মানুষকে ঝগড়া-ফ্যাসাদ, মারামারি-হানাহানি থেকে দূরত্ব বজায় রাখার শিক্ষা দেয়।
[৩] একজন রোজাদার ব্যক্তির আচরণ কেমন হবে– তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজমুখেই শিখিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘রোজা হলো ঢালস্বরূপ। সুতরাং রোজা অবস্থায় তোমাদের কেউ যেন অশ্লীল কথাবার্তা ও ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত না হয়। কেউ যদি তার সঙ্গে ঝগড়া করতে চায়, অথবা গালি দেয়; তবে সে যেন দু’বার বলে দেয়, আমি রোজাদার।(সহিহ বুখারি ও মুসলিম)।
[৪] এভাবে রমজান মাসের প্রতিটি ক্ষণে ক্ষণে রোযা আমাদেরকে অনৈতিকতা থেকে বিরত থাকতে শিখিয়ে যায়। শিখিয়ে যায় অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে বিরত রাখতে মন-নিয়ন্ত্রণের উপায়ও। সেজন্যই তো এসময়ে পানাহার ও স্ত্রী-সহবাসের মত বৈধ কার্য থেকেও সারাদিন বিরত থাকার কথা বলা হয়েছে। যাতে আমরা নিজনিজ প্রবৃত্তিকে শিকলবন্দী করে রাখতে পারি। কেননা প্রবৃত্তি নামক শত্রুটা সম্মুখ লড়াইয়ে কাবু হলেই আমাদের সার্বক্ষণিক গুনাহের পরিমাণও পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
[৫] এই নিয়ন্ত্রণশক্তি অর্জনের জন্যই পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে– ‘রোজা রাখো, যাতে পাশবিক কুপ্রবৃত্তির প্রভাব হতে মুক্ত থাকো এবং পরহেজগার হতে পারো।(সুরা বাকারা: ১৮)
[৬] যথাযথভাবে রোযা পালন করে রমজান মাস কাটাতে পারলে অন্যায়, অনাচারের উপর আমাদের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ চলে আসবে এবং নৈতিক উৎকর্ষ সাধন সম্ভবপর হবে। ফলে আমরাও স্রষ্টার দরবারে পরহেজগার বান্দা হিসেবে পরিগণিত হতে পারব। যখন এরূপ হবে, তখনই অর্জিত হবে সেই পুরস্কার, যার কথা আকায়ে দোজাহাঁ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর হাদিসে কুদসীর মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে– ‘বান্দা একমাত্র আমার জন্যই তার পানাহার বর্জন করে, রোজা আমার জন্যই, আমি নিজেই তার পুরস্কার দেব। (সহিহ বুখারি)।
আপনার মতামত লিখুন :