আক্তারুজ্জামান : [২] এখনো একদিনেরও বেশি সময় বাকি আছে নিলাম শেষ হওয়ার। আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় নিলাম শেষ হবে। কিন্তু এর আগেই মুশফিকের ব্যাটের দাম অর্ধকোটি ছাড়িয়ে গেছে।
[৩] অনলাইনে মুশফিকের ব্যাটটি নিলামে তুলেছে স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি নিবকোর সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্পোর্টস ফর লাইভ। তাদের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম পিকাবুতে নিলামে তোলা ব্যাটের দাম হু হু বাড়ছে। সর্বশেষ বুধবার দুপুর ২টায় দেখা যায় ব্যাটটির দাম উঠেছে ৫০ লাখ ২০ হাজার!
[৪] গত ৯ মে ৬ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্য নিলামে তোলা হয় মুশফিকের প্রথম ডবল সেঞ্চুরি ব্যাটটি। যেটা আবার বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসেও প্রথম ঘটেছিলো ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে।
[৫] তবে ব্যাটের দাম বাড়লেও তা নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। বিডিংয়ে প্রচুর ভুয়া কল আসার ঘটনায় তারা ব্রিবত। যার ফলেবাধ্য হয়ে বিডিং প্রক্রিয়া কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
[৬] কাল হঠাৎ করে দাম বেড়ে যাওয়ায় একটু সন্দেহ হয় নিলামের আয়োজক ও ব্যবস্থাপকদের। তারা ধরে ফেলেন নিলাম নিয়ে রীতিমত তুঘলকি কান্ড শুরু হয়েছে! যারা দাম হাকাচ্ছেন তারাও দর হাঁকিয়ে গা ঢাকা দিচ্ছেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাওয়া যাচ্ছে না। যেগুলাকে ধরা হয় ফলস কল।
[৭] মুশফিকের ম্যানেজার বর্ষণ কবির জানিয়েছেন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তৃতীয় দিনে এসে ৪১ লাখ টাকা মূল্য ওঠাই শেষ কথা নয়, প্রথম দিনই ২২ লাখ টাকা দর হাঁকানো হয়েছিল। তখনই সন্দেহের বীজ অঙ্কুরিত হয় আমাদের মনে। তখনই আমাদের চিন্তায় ঢুকল, হচ্ছেটা কী?’ জাগো নিউজ
[৮] বর্ষণ কবির আক্ষেপ নিয়ে বলেন, ‘অমাদের একমাত্র লক্ষ্য, নিলামে মুশফিকের ব্যাটের মূল্য যাতে বেশি ওঠে। যেহেতু এর পুরো টাকাই যাবে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাহায্যে। কিন্তু সেই মানবিক আবেদন ও মহৎ উদ্যোগেও কেউ অস্বাভাবিক ফলস কল দিতে পারেন তা আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি।’
আপনার মতামত লিখুন :