আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: [২] উপজেলা হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে বন বিভাগের সৃজিত সবুজ বেষ্টুনীর গাছ কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে বনদস্যুরা।
[৩] জানা গেছে, বন কতৃর্পক্ষের উদাসীনতায় প্রকাশ্যে ও রাতের আধারে প্রায়ই ওই গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় বনদস্যুরা।
[৪] অভিযোগ রয়েছে বন বিভাগের লোকজনের সহযোগীতায়ই স্থানীয় হারুন ডাকুয়া, লাল মিয়া ডাকুয়া,মনিরুল ডাকুয়া, সোহাগ ডাকুয়া, মকবুল ডাকুয়া ও সোনা ডাকুয়াসহ ওই এলাকার লোকজন গত এক মাসে বাবলা, আকাশমনি, জেলাপি ও শিশুসহ অন্তত দুই শতাধিক কেটে নিয়ে গেছে।
[৬] বনদস্যুরা ওই গাছ কেটে স্থানীয় রিন্টু আকনের স‘মিলে নিয়ে রেখেছে। বন বিভাগ কতৃর্পক্ষকে জানালেও তারা গুরুত্ব দিচ্ছে না। বনদস্যুদের সাথে রয়েছে বন বিভাগের লোকজনের সখ্যতা এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে স‘মিল থেকে প্রচুর গাছেন গুড়ি ও চেরাই কাঠ জব্দ করেছে।
[৭] বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের পাশের সবুজ বেষ্টনীর বৃহৎ ও মুল্যবান বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নিয়ে গেছে। গাছের গোড়ালি ও ডালপালা পড়ে আছে।
[৮] স্থানীয় ইব্রাহিম প্যাদা, রশিদ মৃধা ও কামাল উদ্দিন বলেন, প্রকাশ্যে দিবালোকে হারুন ডাকুয়ার নেতৃত্বে তার লোকজন গাছ কেটে নিয়ে গেছে। স্থানীয়রা আরো বলেন, হারুন ডাকুয়া ও তার লোকজনসহ এলাকার অনেকে প্রতিবছর গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এর প্রতিবাদ করলে উল্টো তাকে তারা হয়রানী করে থাকেন। বন বিভাগের লোজনকে জানালে তারা কোন ব্যবস্তা নিচ্ছে না।
[৯] আমতলী বন কর্মকতার্ ফিরোজ কবির বলেন, নতুন গাছ কাটার বিষয়টি আমি জানিনা। ওইখানে নতুন কোন গাছ কাটা নেই। পুরাতন কিছু গাছ কেটে নিয়েছে তার ডালপাল পড়ে আছে।
[১০] পটুয়াখালী ডিএফও আমিনুল ইসলাম বলেন, তদন্ত অনুসারে যারা গাছ কেটেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
[১১] আমতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, সরকারী গাছ যারা কেটেছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদন: ইস্রাফিল হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :