ইমরুল শাহেদ : [২] মিজানুর রহমান মিজান পরিচালিত এবং আবীর-আচল জুটি অভিনীত রাগী ছবিটি রপ্তানি ক্ষেত্রে বড় ধরনের রেকর্ড করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। একটি চীনা কোম্পানি ছবিটি দুই লাখ ডলারে চীনের রাইট কিনে নেওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে। বিষয়টি এই করোনা দুর্যোগের মধ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে।
[৩] যেহেতু ছবিটি বাংলা ভাষায় নির্মিত হয়েছে, সেহেতু ছবিটি ইংরেজী সাবটাইটেল করে দিতে হবে - এটাই হরো চীনা কোম্পানিটির শর্ত।
[৪] ছবিটির নায়ক আবীর জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ দুর্যোগ শুরু হওয়ার আগেই কথা চূড়ান্ত হয়ে আছে। হঠাৎ করোনা এসে যাওয়ার কারণে চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব হয়নি। করোনা চলে গেলেই তিনি চুক্তির দিকে এগিয়ে যাবেন।
[৫] তিনি বলেন, চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়ে গেলে নিশ্চিত করে বলা যাবে, আমার এ ছবিটি বিদেশি মুদ্রা উপার্জনের ক্ষেত্রে প্রথম হয়ে থাকবে। তিনি উল্লেখ করেন, ছবিটি যদি রেডি থাকে তাহলে এখনই অনলাইনে সব কাজ সেরে ফেলার জন্য চীনা কোম্পানিটি চাপ দিচ্ছে।
[৬] তিনি বলেন, ছবিটির সঙ্গীত পরিচালক শওকত আলী ইমন বলেছেন আগামী দশ দিনের মধ্যে তিনি ছবিটির আবহসঙ্গীতের কাজ শেষ করে দিতে পারবেন। ছবিটির কালার গ্রেডিং হবে ভারতে। এর মানে ছবিটির কিছু কাজ এখনো বাকি আছে।
[৭] উল্লেখ করার বিষয় হলো, আবীর একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। চীনের সঙ্গেই তার সব ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে। তিনি চাইলে শুধু রাগী নয়, অন্যান্য ছবিও রপ্তানির মাধ্যমে চীনে বাংলাদেশের ছবির এক বাজার তৈরি করতে পারেন। ভারতীয়, বিশেষ করে মুম্বাইয়ের ছবিগুলো ভারতসহ বিশ্বজুড়ে একইসঙ্গে মুক্তি পায়। মুম্বাই চলচ্চিত্র বিদেশ থেকে বড় ধরনের অর্থ আয় করে থাকে। সালমান খান, আমীর খানের বড় বাজার আছে চীনে। সেখানকার দর্শক সমাজ এই দুই তারকাকে ব্যাপকভাবে চেনে। আবীরও একই উদ্যোগ নিতে পারেন। সেখানকার গণমাধ্যমে এদেশের তারকাদের তুলে ধরতে হবে।
[৮] ছবি মুক্তির আগেই সংশ্লিষ্ট শিল্পীদের দর্শকের কাছে পরিচিত করে তুলতে হবে। যা করে ভারতীয় গণমাধ্যম। রাগী ছবির স্বার্থে আবীরকেও সে উদ্যোগ নিতেই হবে। এদেশের বর্তমান সংকুচিত বাজার থেকে বেরিয়ে, বিদেশে বাজার খুঁজে পেলে চলচ্চিত্রশিল্পের জন্য মঙ্গলজনক হবে।