লিহান লিমা: [২] ফেসবুকের ক্ষতিকর কনটেন্ট যাচাই-বাচাই করতে গিয়ে কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ে, আদালতের এই চ্যালেঞ্জের প্রতিত্তুরে ৫ কোটি ২০ লাখ ডলার অর্থ দিতে রাজি হয় ফেসবুক। দ্য গার্ডিয়ান, এএফপি
[৩]ল ফার্ম প্লেইনটিফস এর আইনজীবী স্টিভ উইলিয়াম দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ফেসবুকের মডারেটররা সাধারণত তৃতীয় পক্ষের দ্বারা চুক্তিবদ্ধ হয়ে থাকেন। কাজ করতে গিয়ে তারা শিশু যৌন নির্যাতন, সন্ত্রাসবাদ, হত্যাকাণ্ড, পশু নির্যাতনসহ অন্যান্য সব ক্ষতিকর কনটেন্ট দেখেন। যা কিনা মানুষের মস্তিষ্কের চিন্তুাশক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
[৪]স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ঘোষিত এই সমঝোতায় ফেসবুকের কনটেন্ট নিয়ে কাজ করা কর্মীরা যদি মানসিক স্বাস্থ্য সংকটে ভোগেন তবে চিকিৎসার জন্য প্রত্যেকে ১ হাজার ডলার করে পাবেন। সমঝোতার আওতায় ফেসবুক মানসিক স্বাস্থ্য কাউন্সিলর, স্বাস্থ্য সহায়তা, মাসিক থেরাপি সেশনসহ মডারেটরদের জন্য নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিতে কাজের পরিবেশের হালনাগাদ করবে।
[৫]উইলিয়াম বলেন, এই মামলার ফলাফলে আমরা আনন্দিত। কাজ করতে গিয়ে কর্মীদের যে ক্ষতিহয় তা সত্য এবং মারাত্মক। প্লেইনটিফস বলেছে, কর্মীরা অন্যান্য ক্ষতির জন্য ৫০ হাজারেরও বেশি ডলার পাবেন।
[৬]২০১৫ সাল থেকে ক্যালিফোর্নিয়া, আরিজোনা, টেক্সাস ও ফ্লোরিডায় কাজ করা ফেসবুকের মডারেটররা এই সমঝোতায় আওতায় আসবেন।
[৭]ফেসবুকের সাবেক মডারেটর সেলেনা সেকোলা ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। পরে তার সঙ্গে আরো দুই সাবেক কর্মী যোগ দেন। এই বিষয়টি নিয়ে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। দেখা যায়, মডারেটরা ক্ষতিকর কনটেন্ট দেখতে আসক্ত হয়ে যান। ২০১৯ সালে ভার্জের তদন্তে উঠে আসে, প্রতিদিন হাজারো ভয়াবহ ভিডিও দেখে বছরে মডারেটরা বেতন পান মাত্র ২৮ হাজার ৮০০ ডলার। তাদের মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তাও স্বল্প।
[৮]ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বলেছে, ফেসবুক মডারেটরদের কাজের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনবে।
আপনার মতামত লিখুন :