শিরোনাম
◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী 

প্রকাশিত : ১৩ মে, ২০২০, ০৮:১১ সকাল
আপডেট : ১৩ মে, ২০২০, ০৮:১১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নো কোভিড-১৯ টেস্ট, নো চিকিৎসা!

অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন : কী এক টেস্টের চক্করে পড়েছে ঢাকার রোগীরা। যদি কারও জ্বর-শুকনো কাশি কিংবা শ্বাসকষ্ট থাকে, তাহলে তাকে করোনা টেস্টের ফলাফল ছাড়া অধিকাংশ হাসপাতালই চিকিৎসার জন্য ভর্তি নিচ্ছে না। ফলশ্রুতিতে একের পর এক হাসপাতাল ঘুরে শেষমেষ এক প্রকার বিনা চিকিৎসায়ই মারা গেছেন কয়েকজন রোগী। অন্য রোগীরা মুখোমুখি হচ্ছেন নানা রকমের ভোগান্তিতে। ঢাকা শহরে কিডনি রোগের জন্য ডায়ালাইসিস, শ্বাসকষ্ট, স্ট্রোক কিংবা হার্ট অ্যাটাকের রোগীদের জন্য বিশেষ সমস্যা হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের করোনা টেস্টের ফলাফল ছাড়া চিকিৎসা করা হচ্ছে না। এখন কথা হলো জরুরি ভিত্তিতে চাইলেই কি করোনার টেস্ট করানো যায়? যেখানেই টেস্ট করতে যাবেন না কেন, সেখানে টেস্ট করতে ইচ্ছুক মানুষের বিশাল লাইন। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং না মানা, করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি সংবলিত সেই মানুষের ভিড়ে কেবলমাত্র সৌভাগ্যবান ব্যক্তিরাই ৩-৪ ঘণ্টা অপেক্ষার পরে টেস্টের জন্য নমুনা প্রদান করতে পারে। তারপর আছে টেস্টের ফলাফলের জন্য প্রতীক্ষা।

 

২ দিনের আগে টেস্টের ফলাফল পাওয়া কপালের ব্যাপার। টেস্ট করতে ইচ্ছুক মানুষের ভিড় যখন বাড়ছে, তখনি মাসখানেক এককভাবে করোনা টেস্ট কুক্ষিগত করে রাখার পর হুট করে আইইডিসিআর সাধারণ মানুষের টেস্ট করা বন্ধ করে দিলো। এদিকে রোগীদের ভিড় সামলাতে না পেরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ল্যাবরেটরিও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। স্বভাবতই চাপ বেড়েছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আর নিপসমের ল্যাবরেটরির উপর। ঢাকাসহ দেশের অনেক প্রতিষ্ঠানেই পিসিআর মেশিন আছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে উচিত ছিলো যতো বেশি সম্ভব পিসিআর মেশিনগুলোকে প্রয়োজনীয় টেস্টিং কিট সরবরাহ করে করোনা পরীক্ষার উপযোগী করে প্রস্তুত করা। সময়মতো তো তা করা হয়ইনি, এমনকি এখনো সে রকম কোনো লক্ষণ দেখি না। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হলো এখন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে করোনা টেস্টটাকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়নি। যদি কেউ টাকা দিয়ে বেসরকারি ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করোনার টেস্ট করতে চায়, কেন তাহলে সেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হবে না? পরিস্থিতি সামলাতে বারবার ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও অদক্ষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সব কিছু কুক্ষিগত করে রাখার এই প্রবণতা কেন? মানুষের ভোগান্তি বাড়িয়ে তাদের কী লাভ? তারা কি দেখে না, দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে কীভাবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সামনে থেকে সাহসী নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা? মানুষ অসুস্থ হলে চিকিৎসা পাবে, এটা তার মৌলিক অধিকার।

 

অথচ রোগীর চিকিৎসা পাওয়া নিয়ে ঢাকায় এক হযবরল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কেবল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ঘাটতিতে ঢাকা শহরের চিকিৎসা ব্যবস্থা আজ চরম এক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সঠিক নেতৃত্ব, পরিকল্পনাহীনতা, সমন্বয়হীনতা এবং বাস্তবায়নের ধীরগতি স্বাস্থ্য খাতের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। ঢাকা শহরের চিকিৎসাপ্রত্যাশী মানুষ খুব কষ্টে আছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাদের এই কষ্ট লাঘবের দায়িত্ব নিতে হবে। কোভিডের জন্য নির্ধারিত হাসপাতালসমূহে উপচে পড়ছে রোগী। আর করোনা পজিটিভ কিনা তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছে না অনেক রোগী। এভাবে তো চলতে পারে না। এ অবস্থা থেকে দ্রুত উত্তরণ চাই। মানুষকে বিনা চিকিৎসায় মরতে দেওয়া যাবে না। লেখক : চেয়ারম্যান, ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস এন্ড রেসপন্সিবিলিটিজ (এফডিএসআর)।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়