আজফার আজিজ : সামাজিক দূরত্ব ও মানসিক চাপের এই শ্বাসরোধী সময়ে মানসিক প্রশান্তি ও রোগ নিরাময়ের জন্য আমাদের দরকার গাছের নৈকট্য। প্রকৃতির সাথে সংযোগহীনতা আমাদের আবেগীয় দুর্দশার একটি কেন্দ্রীয় কারণ। ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা একটি আবাসন উন্নয়ন গবেষণায় দেখেছেন, যারা গাছের কাছাকাছি বাস করেন তারা প্রতিবেশীদের সাথে বেশি মেশেন ও বেশি নিরাপদ বোধ করেন।
এছাড়া, তারা ‘বৃক্ষহীন’ ব্লকগুলির বাসিন্দাদের চেয়ে শারীরিকভাবে বেশি সুস্থ বোধ করেন। চিকিৎকরাও এখন জানেন যে, রোগীরা যে পরিবেশে থাকে তা ওষুধ খাওয়ার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালটিকে তাই নতুনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে তার সবগুলি ওয়ার্ড থেকেই নগরটির সেন্ট্রাল পার্ক দেখা যায়।
টেক্সাস এঅ্যান্ডএম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর হেল্থ সিস্টেমস অ্যান্ড ডিজাইনের পরিচালক রজার আলরিচ দেখতে পেয়েছেন কেবল সবুজ জায়গায় অবস্থান করায় তিন মিনিটের মধ্যেই তার মানসিক চাপের মাত্রা এবং রক্তচাপ কমে গেছে। লাইফ কোচ কারিন মার্কাস বলেন, “আমি যখন নিজেকে গাছ দিয়ে ঘিরে রাখি তখন আমার শ্বাস হয় গভীর, আমার ইন্দ্রিয়গুলি তৃপ্ত হয়। আমি শান্তি বোধ করি।" জাপানিরা এই অনুভূতিকে বলে শিনরিন-ইয়োকু বা অরণ্য-স্নান।
২০০৪ সালে জাপানের একটি সংস্থা পরীক্ষা চালিয়ে দেখেছে বনে ঘুরে বেড়ানো রক্তচাপ ও রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য উপকারী। তাছাড়া, দেখা গেছে যারা ২০ মিনিট বনের দৃশ্য দেখেছেন তাদের স্ট্রেস হরমোন করটিসোলের ঘনত্ব ১৩ শতাংশ কমে গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :