সমীরণ রায়: [২] রাজবাড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকির আবদুল জব্বারের বিরুদ্ধে করোনাকালের ত্রান বিতরণে দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন জেলা পরিষদের নির্বাচিত মোট ২০ জন সদস্যর মধ্যে ১৬ জন ওই আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন।
[৩] মন্ত্রনালয়ে দেয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, করোনা ঘোষনার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় প্রথম দফায় গত ২১ মার্চ, দ্বিতীয় দফায় ২ এপ্রিল জেলা পরিষদ বরাবর চিঠি দিয়ে করোনা সম্পর্কে সচেতনাতায় এলাকায় মাইকিং, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরনের নির্দেশ দেয়। তৃতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব ড.জুলিয়া মঈনের দেয়া চিঠিতে ত্রানের জন্য ২৭ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। কিন্তু জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মন্ত্রনালয়ের তিনটি চিঠি গোপন করেন। ত্রান সামগ্রী ক্রয়ের জন্য কোন কমিটি বা জেলা পরিষদের কোনো সভা আহব্বান করেননি। ফলে ওই ২৭ লাখ টাকা কিভাবে ব্যয় করেছেন তা জানেন না অন্য সদস্যরা। বরং জেলা পরিষদের সিংভাগ বরাদ্ধ দিয়েছেন তার ছেলের নাট্য প্রতিষ্ঠান,ভায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিএনপি সরকারের সাবেক মন্ত্রী জাহানারা বেগম প্রতিষ্ঠিত আহমেদ আলী কলেজে। এমনকি জেলা পরিষদের বিভিন্ন খাতে বরাদ্ধ দেখিয়ে নিজের এনজিও কেকেএস এর কর্মীদের বেতন পরিশোধ করেছেন।
[৪] জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকির আবদুল জব্বার বলেন, মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তা জানি। জরুরী ভিত্তিতে ত্রান দিতে হয়েছে বলে ক্রয় কমিটি এবং কোনো মিটিং করিনি। তবে আগামী রোববার সভা আহ্বান করেছি। আমি কোন দুর্নীতি করিনি।
[৫[ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল হান্নান বলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কোনো সভা ছাড়াই ত্রান ক্রয় করেছেন। তিনি নিজের ইচ্ছেমত জেলা পরিষদের অর্থ খরচ করেন।
[৬] জেলা পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রাশেদুল হক বলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ব্যাক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ত্রান ক্রয়ে কোনো কমিটি না করে স্পষ্টতই দুর্নীতি করেছেন। তাই মন্ত্রনালয়ে দরখাস্ত করেছি।
[৭] স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সচিব হেলালুদ্দিন আহম্মদ বলেন, অভিযোগ এলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় কাউকে ছাড় দেয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :