শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১২ মে, ২০২০, ১০:০০ দুপুর
আপডেট : ১২ মে, ২০২০, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১]১৩ বছরের বিকেএসপির জীবনে এমন নিরবতা দেখিনি : দ্রুততম মানবী শিরিন

নিজস্ব প্রতিবেদক : [২] টানা সাত বছর জাতীয় অ্যাথলেটে প্রথম হচ্ছেন শিরিন আক্তার। শুধু তাই নয় এই সময়ে তিনি ছাড়া আর কেউই দ্রুততম হতে পারেননি। তবে দুর্বিষহ এ সময়টা বড্ড বিরক্তিকর। থমথমে সবকিছুর মধ্যে নিজেকে ফিট রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ। কিভাবে কাটছে লকডাউনের এ সময়টা জানিয়েছেন দেশের জাতীয় একটি দৈনিককে।

[৩] ছুটির সময় বাড়িতে না যেয়ে বিকেএসপিতেই রয়ে গেছেন শিরিন। আর এটাকে তিনি সুযোগ হিসেবে নিয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন। কেননা তিনি যখন ইচ্ছে চাইলেই ট্র্যাকে নেমে দৌড়াতে পারছেন, জিম করছেন।

[৪] ইচ্ছে করলেই কোনোভাবে সাতক্ষীরায় বাড়িতে চলে যেতে পারতাম। কত মানুষ কত ভাবেই তো ঢাকা ছেড়েছে, এখনো যাচ্ছে। কিন্তু আমি এই দুটি কারণেই যাইনি। আর এই সময়ে বাসে অনেক মানুষের সঙ্গে যাতায়াত করাটা ঝুঁকিপূর্ণ। আমার জন্য পরিবারের বাকি সদস্যরা বিপদে পড়ুক, সেটিও চাই না। তাই মা-বাবাকে বুঝিয়ে বিকেএসপিতে থেকে গেছি।

[৫] শিরিনের ভাষায় বিকেএসপিতে অনেক ভালো আছি, নিরাপদে আছি। প্রতিদিন এক বেলা অনুশীলন করছি। সপ্তাহে তিন দিন এন্ডুরেন্স ট্রেনিং ও তিনদিন জিম। সকাল সাড়ে আটটা থেকে দুই ঘণ্টা অনুশীলন করি। রোজা রেখে এর চেয়ে বেশি পরিশ্রম করা সম্ভব হয় না। বাকি সময়ে ঘুম, রান্না ও নামাজ পড়া ।

[৬] বিকেল থেকে শুরু হয় রান্নার কার্যক্রম। ইফতারি বানানো থেকে শুরু করে সেহরি ও রাতের খাবার, সব আমিই তৈরি করি। আগেও রান্না করতাম, তবে এখন বাধ্যতামূলকভাবেই করতে হচ্ছে। অবশ্য বাজার করার ঝামেলা কম। বিকেএসপির মধ্যেই সামাজিক দূরত্ব মেনে বাজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতি বেলায় প্রচুর সবজি খাচ্ছি। এর সঙ্গে একদিন মাছ ও একদিন মাংস। সবকিছু মিলিয়ে ভালোই কাটছে এখানে। প্রথম আলো

[৭] তবে এটা ঠিক, করোনার জন্য বিকেএসপিতে সেই প্রাণ চাঞ্চল্যটা নেই। আমার ১৩ বছরের বিকেএসপি জীবনে এমন নীরবতা কখনো দেখিনি। শুধু বিকেএসপি কেন, এমন পরিস্থিতি তো পৃথিবীই আগে দেখেনি। তবে সব কিছুই ভালোর জন্য। করোনার পরে হয়তো আমাদের জন্য খুব ভালো কিছুই অপেক্ষা করছে। আশা করছি দ্রুতই এ অপেক্ষা ফুরোবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়