নিজস্ব প্রতিবেদক : [২] টানা সাত বছর জাতীয় অ্যাথলেটে প্রথম হচ্ছেন শিরিন আক্তার। শুধু তাই নয় এই সময়ে তিনি ছাড়া আর কেউই দ্রুততম হতে পারেননি। তবে দুর্বিষহ এ সময়টা বড্ড বিরক্তিকর। থমথমে সবকিছুর মধ্যে নিজেকে ফিট রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ। কিভাবে কাটছে লকডাউনের এ সময়টা জানিয়েছেন দেশের জাতীয় একটি দৈনিককে।
[৩] ছুটির সময় বাড়িতে না যেয়ে বিকেএসপিতেই রয়ে গেছেন শিরিন। আর এটাকে তিনি সুযোগ হিসেবে নিয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন। কেননা তিনি যখন ইচ্ছে চাইলেই ট্র্যাকে নেমে দৌড়াতে পারছেন, জিম করছেন।
[৪] ইচ্ছে করলেই কোনোভাবে সাতক্ষীরায় বাড়িতে চলে যেতে পারতাম। কত মানুষ কত ভাবেই তো ঢাকা ছেড়েছে, এখনো যাচ্ছে। কিন্তু আমি এই দুটি কারণেই যাইনি। আর এই সময়ে বাসে অনেক মানুষের সঙ্গে যাতায়াত করাটা ঝুঁকিপূর্ণ। আমার জন্য পরিবারের বাকি সদস্যরা বিপদে পড়ুক, সেটিও চাই না। তাই মা-বাবাকে বুঝিয়ে বিকেএসপিতে থেকে গেছি।
[৫] শিরিনের ভাষায় বিকেএসপিতে অনেক ভালো আছি, নিরাপদে আছি। প্রতিদিন এক বেলা অনুশীলন করছি। সপ্তাহে তিন দিন এন্ডুরেন্স ট্রেনিং ও তিনদিন জিম। সকাল সাড়ে আটটা থেকে দুই ঘণ্টা অনুশীলন করি। রোজা রেখে এর চেয়ে বেশি পরিশ্রম করা সম্ভব হয় না। বাকি সময়ে ঘুম, রান্না ও নামাজ পড়া ।
[৬] বিকেল থেকে শুরু হয় রান্নার কার্যক্রম। ইফতারি বানানো থেকে শুরু করে সেহরি ও রাতের খাবার, সব আমিই তৈরি করি। আগেও রান্না করতাম, তবে এখন বাধ্যতামূলকভাবেই করতে হচ্ছে। অবশ্য বাজার করার ঝামেলা কম। বিকেএসপির মধ্যেই সামাজিক দূরত্ব মেনে বাজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতি বেলায় প্রচুর সবজি খাচ্ছি। এর সঙ্গে একদিন মাছ ও একদিন মাংস। সবকিছু মিলিয়ে ভালোই কাটছে এখানে। প্রথম আলো
[৭] তবে এটা ঠিক, করোনার জন্য বিকেএসপিতে সেই প্রাণ চাঞ্চল্যটা নেই। আমার ১৩ বছরের বিকেএসপি জীবনে এমন নীরবতা কখনো দেখিনি। শুধু বিকেএসপি কেন, এমন পরিস্থিতি তো পৃথিবীই আগে দেখেনি। তবে সব কিছুই ভালোর জন্য। করোনার পরে হয়তো আমাদের জন্য খুব ভালো কিছুই অপেক্ষা করছে। আশা করছি দ্রুতই এ অপেক্ষা ফুরোবে।
আপনার মতামত লিখুন :