বিপ্লব বিশ্বাস : [২]করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জুলাই মাসের ২৬ তারিখ থেকে সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ থাকায়, বন্ধ হয়ে আছে সড়ক পথের ৭০ লাখর শ্রমিকের রুটি-রুজি
[৩] কিন্তু এমন দুর্দিনে মালিক সমিতি কিংবা শ্রমিক সংগঠন কাউকেই পাশে না পাওয়ার অভিযোগ বেকার শ্রমিকদের। এমনকি শ্রমিক কল্যাণের নামে দেয়া চাঁদার অর্থও না পাওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে।
[৪] জানা যায়, মহাখালী বাসটার্মিনাল থেকে ৫৪ রোডে গাড়ি চলাচল করে গড়ে প্রতিদিন তিনহাজার। শ্রমিক রয়েছে ৭ হাজার। করোনাকালে তাদের পাশে হাত বারিয়ে দেয়নি কেউ। ক্যাসিনো বিরোধি অভিযান এ তখন শ্রমিক দের কল্যাণ এর কথা বলে চাঁদা নেয়া হতো পার গাড়ি প্রতি ৮০০ টাকা করে। এরপর থেকে নয়া হয় ৪০০ টাকা করে। অথচ এই দু:সময়ে তাদের পাশে নেই কোন নেতা। অথচ ৩৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক বিএনপি সভাপতি এবং বতর্মান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আলহাজ্ব সাদেকুর রহমান হিরুর নিজেরেই ওই রুটে গাড়ি রয়েছে ৩৮ টি । রয়েছে ২০ এর অধিক ফ্লাট, কোটি কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালাঞ্চ। অথচ তারই শ্রমিকরা থাকে না খেয়ে।
[৫] অন্যদিকে মহাখালি বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবদুল মালেকের ২০০৮ সালে একটি গাড়ি দিয়ে যার যাত্রা শুরু। তিনি এখন ৫০ এর অধিক গাড়ি। রয়েছে ২০ এর অধিক নামে বেনামে ফ্লাট বাড়ি। তার শ্রমিকরা দিন কাটছে আনাহারে। অথচ শ্রমিকদের ঘারে পা রেখেই। তারা এতো অর্থ সম্পদের মালিক। করোনাকালে এই সব শ্রমিক ও মালিক নেতাদের পাশে না পেয়ে অনেক শ্রমিকই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
[৬] এ ব্যপারে কল্যাণ ফান্ডের অর্থ নিয়ে কোথাও কোথাও অনিয়ম হওয়ার কথা স্বীকার করে শাজাহান খান বলেন, কোনো কোনো জায়গায় এ ব্যত্যয় ঘটেছে। তবে অধিকাংশ জায়গায় এ কল্যাণ তহবিলের টাকাই যাচ্ছে। কল্যাণ তহবিলের টাকাটা কিন্ত সবই থাকে না। কারণ যেসব শ্রমিক মৃত্যুবরণ করে, অ্যাক্সিডেন্ট করে, তাদের পরিবারের জন্য এসব দেয়া হয়।
[৭] করোনায় লকডাউনের কারণে মোট পরিবহন ব্যবস্থার মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ কাজ করছে। নজিরবিহীন এ পরিবহন সংকটে প্রতিদিন ৫শ’ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি পরিবহন সংশ্লিষ্টদের।
আপনার মতামত লিখুন :