প্রিয়াংকা আচার্য্য : [২] অ্যাডভোকেট আনিসুল হক একাত্তর টিভির এক অনুষ্ঠানে জানান, এ আইনটা করার পরিকল্পনা অনেক আগে থেকেই ছিল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প করার উদ্যোগ নিয়েছেন। যা বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২৮শ কোটি টাকারও বেশি। সেই প্রকল্পে এটা অন্তর্ভূক্ত ছিল।
[৩] কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে আদালতের কার্যক্রম গত ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে। ফলে মামলা জটে আরও দীর্ঘসূত্রিতা বাড়ছে। তাই আমরা ভার্চুয়াল আদালত আইনটি করে ফেলেছি।
[৪] আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০ জারির মাধ্যমে জরুরি জামিন ও দেওয়ানি আদালতের জরুরি কিছু কাজ এই ভার্চুয়াল আদালতে করা যাবে৷।
[৫] এই অধ্যাদেশে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগ প্র্যাকটিস নির্দেশনার মাধ্যমে কার্যবিধি নির্ধারণ করে মামলার শুনানি গ্রহণ করতে পারবেন।
[৬] আর উচ্চ আদালতও ভার্চুয়াল বেঞ্চের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ সম্পূর্ণ বিচারকাজ আপাতত এই ভার্চুয়াল আদালতে সম্ভব নয়৷ সেটা করতে হলে সাক্ষ্য আইন সংশোধন করতে হবে৷ আরা সেটা তাড়াহুড়া করে করতে গেলে ত্রুটি থাকতে পারে৷ তাই আগামী বাজেট অধিবেশনে এই সংশোধনী আনা হবে৷
[৭] ভার্চুয়াল আদালত চালুর মাধ্যমে বিচারিক প্রক্রিয়া ডিজিটাল যুগের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করলো। সূত্র : একাত্তর টিভি
আপনার মতামত লিখুন :