সিরাজুল ইসলাম: [২] রাজধানী কলম্বোর নারী জোবায়ের ফাতিমা রিনোসার মরদেহ ৫ মে পুড়িয়ে ফেলেছে কর্তৃপক্ষ। দুইদিন পর তার করোনার পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে।
[৩] ৪৪ বছর বয়সী এই নারীর ছেলে মোহাম্মদ সাজিদ বলেন, সরকার করোনায় মারা যাওয়া সবার মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কারণে তারা তার মায়ের মরদেহ ইসলামী রীতি মেনে দাফন করতে পারেনি। কর্তৃপক্ষ জোর করে তার ভাইয়ের সই নিয়ে মরদেহ পুড়িয়ে ফেলে। দুইদিন পর তিনি গণমাধ্যমে জানতে পারেন, পরীক্ষায় ত্রুটি ছিলো। তার মা করোনা সংক্রমিত ছিলেন না। এরপর তিনি কেবলই বেদনায় চোখের জল ফেলছেন। তার বাবাও কেঁদেই চলেছেন। তার মা চলে গেছেন, এটা তিনি মেনে নিতে পারছেন। কিন্তু তার মাকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে- এটা কেউ মেনে নিতে পারছেন না।
[৪] শ্রীলঙ্কায় করোনায় মারা যাওয়াদের চারজন মুসলিম। তাদের মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। ইসলামী রীতি অনুসারে দাফন করা হয়নি। এটা ধর্মের মৌলিক অধিকার লঙ্গন।
[৫] সাবেক পার্লামেন্ট মেম্বার আলী জহির মৌওলানা বলেন, মৃতদের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, তারা শুধু স্বজন হারাননি, তাদের দাফন করার অধিকারও হারিয়েছেন। তারা সরকারের প্রতি অমানবিক না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মুসলিমদের মরদেহ দাফন করার অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানান তারা।
[৬] বৌদ্ধ সংখ্যা গরিষ্ঠ দ্বীপ রাষ্ট্রে প্রথমে করোনায় মৃত মুসলিমদের দাফন করার সিদ্ধান্ত ছিলো। পরে ১১ এপ্রিল সব মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সূত্র: আলজাজিরা
আপনার মতামত লিখুন :