শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১২ মে, ২০২০, ০৮:৩০ সকাল
আপডেট : ১২ মে, ২০২০, ০৮:৩০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] করোনাকালের দুই মাসে ২৫টি সংঘর্ষে ১০ জনের মৃত্যু

ইসমাঈল ইমু ও সুজন কৈরী : [২] গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের পর ২৬ মার্চ থেকে সরকারী ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই সময় ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের বেশির ভাগই ছিলো আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে, সব মিলিয়ে আহতের সংখ্যা ৫ শতাধিক।

[৩] গতকাল সোমবার ঝিনাইদহের শৈলকুপার ৫ নম্বর কাচেরকোল ইউনিয়নের ধুলিয়াপড়িা গ্রামে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন।

[৪] এর আগের দিন কিশোরগঞ্জের লতিবপুরের শ্রীমন্তপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক পথচারী নিহত হয়েছেন।

[৫] ১ মে রংপুরের পীরগঞ্জে ধান কাটা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত হন রত্নেশ্বর গ্রামের ইদ্রিস আলী।

[৬] ২৪ এপ্রিল ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ত্রাণ দেয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ ১২ জন আহত হন। ১৩ এপ্রিল একই এলাকায় দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নারীসহ ১০ জন আহত হন। একইদিন নারায়ণগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন।

[৭] ১২ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামে কয়েকশ মানুষের সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়। প্রতিপক্ষের একজনের পা কেটে হাতে নিয়ে আনন্দ মিছিলও করে অপর পক্ষ। ২৯ এপ্রিল সরাইলের নোয়াগাঁওয়ের কাটানিশার গ্রামে মিজান মেম্বার ও ইয়াছিন মুন্সির লোকদের মধ্যে সংঘর্ষে অর্ধশত লোক আহত হন। ২৬ মার্চ বিজয়নগরের সিঙ্গারবিলের নোয়াগাঁও গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২৫জন আহত হন। ২৭ মার্চ আশুগঞ্জের চর-চারতলা ইউনিয়নের মুন্সী মার্কেটের পাশে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন মো. জাহাঙ্গীর আলম। ৩১ মার্চ সরাইলের পানিশ্বর ভুঁইশ্বর গ্রামে দুদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। ৩ এপ্রিল রাতে নাসিরনগরের গোয়ালনগরের কদমতলী গ্রামে খুন হন গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার মোস্তফা কামাল ওরফে মস্তু মিয়া। ৪ এপ্রিল কসবার বাহাদুরপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হন বাহাদুরপুর গ্রামের তানভীর। ৫ এপ্রিল সরাইলের টিঘর, বড়ইছড়া, বিটঘর, নোয়াগাঁও, ধরন্তী, সৈয়দটুলা গ্রামে ৭টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শতাধিক লোক আহত হন। ১১ এপ্রিল বাঞ্ছারামপুরের সোনারামপুরের শান্তিপুর গ্রামে দুদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত ৩০জন আহত হন। একই দিন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিকে নবীনগর উপজেলার খাজানগর এলাকার কবরস্থানে দাফন করতে গিয়ে হামলার শিকার হয় পুলিশ। ১২ এপ্রিল সরাইলের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আঁখিতারা গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩০জন আহত হন। ১০ এপ্রিল কসবার শাহপুর গ্রামের ফারুক মিয়া চৌধুরী প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন। ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় নাসিরনগরের চাতলপাড় ইউনিয়নের বড়নগর গ্রামের বাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন রজব আলী নামের একজন। ১৯ এপ্রিল রাতে নাসিরনগরের গোকর্ণ ইউনিয়নের জেঠাগ্রামে দুদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ৬ পুলিশ সদস্যসহ ৬৫জন আহত হয়। ২৬ এপ্রিল বিজয়নগর উপজেলার আদমপুরে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩৫জন আহত হন।

[৮] ১৩ এপ্রিল গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে দুপক্ষের সংর্ঘষে সুজন শেখ নামে এক যুবক নিহত হন।

[৯] ৭ মে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার নোয়াগড় গ্রামে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশত লোক আহত হয়েছেন। ১১ এপ্রিল নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন।

[১০] আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জনসাধারণের নিরাপত্তা দেয়ার কাজ আমরা করছি। এরপরও বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ঘটনা ঘটছে। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়