দীপু তৌহিদুল : বাংলাদেশের কৃষককে কেউ উদ্ধার করে না, তারা নিজেরাই নিজেদের উদ্ধার করে। কৃষককে নিয়ে বড় বড় লেকচার দেওয়াও খুব সহজ, কারণ তারা আমাদের কোনো কাউন্টার দিতে আসে না। গ্রাম আর জেলায় বাস করা বহু মানুষকে চিনি, নিজেও কম ঘুরতে যাই না। আফসোস তারা কেউ কোনোদিন ব্যাংক থেকে কৃষিঋণটা পাওয়া আসল কৃষক দেখাতে পারেনি। অথচ শুনি কৃষিঋণ কৃষিঋণ, তবে নকল কৃষকরা নাকি বহুতই আছে। এটা শুনেছি, জায়গা মতো চাহিদা মেটাতে পারলে আপনি নিজেও কৃষক না হয়ে অনেক কম সুদে কৃষিঋণ নিয়ে নিতে পারবেন।
কৃষিঋণ নাকি খুব মজার। আমি খাইনি তাই জানি না, লোকে বলে শুনে অবশ্য লোভ জাগে না। ধরেন আপনার বাড়িতে জমি আছে, সেটাতেই পুকুর উকুর কেটে নিয়ে, জায়গা মতো বাকিটা লোন দেনেওয়ালারাই বুঝিয়ে বলবে। আমি আইনের ফাঁকে আর গেলাম না। বাংলাদেশে ২০-২৫ কিংবা ৫০ মণ ধান জন্মানো কৃষককে কে লোন দেবে? এটা নিয়ে কোনোদিন ভাবছেন। না ভাবেননি। অথচ এ দেশে এ কৃষকের সংখ্যাটাই সবচাইতে বেশি। এই কৃষক ব্যাংকে লোনের জন্য গেলেই ব্যাংক তাকে কাগজপত্র আর আমলাতন্ত্রের প্যাঁচের এমন ফাঁপর দেবে যে সে পালিয়েও কূল পাবে না। জি এসব কৃষক তাদের জীবনে ব্যাংকের ফুটপাথেও হাঁটতে যান না। ব্যাংকের চেহারা না দেখে এই দেশের বহু কৃষক কবরে চলেও গেছেন। নিজের এলাকায় কিংবা পরিচিতদের কাছে কৃষিঋণটা কারা পায় আর এই ঋণ নিয়ে কী কী হয় সে সব নিয়ে জানুন, আশা করি খুশিতে পেট ভরে যাবে।
কিছু কিছু ব্লগ আর্টিকেলেও কমবেশি কৃষিঋণ কাহিনি পাবেন। তবে পত্রিকায় খুব একটা পাবেন মনে হয় না, কারণ যারা এসব নিয়ে লেখার কথা, তারাও জায়গা মতো ঠিকঠাক বেচা হয়ে থাকেন। যতো বড় মন্দ অবস্থাই হোক দেশেরÑ এই কৃষকরা আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। পারলে কৃষকদের কষ্টের দিকগুলো জেনে নিয়ে দুইটা কথা বইলেন, এটা বলা আপনার দায়। কৃষক নিয়ে কথা বললে তারা রাগ করে কিনা সেটা অবশ্য বলতে পারবো না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :