রাশিদ রিয়াজ : [২] গত মার্চ থেকেই করোনার কারণে তাদের আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অনাহারে হাহাকার চলছিল। এখন মালিকরা আর তাদের ঘরে রাখতে পর্যন্ত রাজি নয়। অধিকার চাওয়া ছাড়া তাদের আর কিছু চাওয়ার নেই। স্পুটনিক
[৩] এতদিন বলা হত স্পেনের যৌনকর্মীরা আইনী মর্যাদার অধিকারী। কিন্তু তা রক্ষা ও নিশ্চিত করতে কেউ এগিয়ে আসছে না।
[৪] সংগ্রাম করে টিকে থাকতে চাচ্ছেন এমন এক যৌনকর্মী এভিলিন রচেল বলেন, সেক্স ক্লাবের মালিকরা এতদিন আমাদের ব্যবহার করে কম পয়সা কামায়নি কিন্তু এই বিপদে তারা স্রেফ রাস্তায় ঠেলে দিচ্ছে।
[৫] মাদ্রিদের একটি ক্লাবে ৩৫ বছরের এক নারীকে মাসিক ভাড়া দিতে হয় ২১’শ ইউরো। ভাড়া না দিলে দেহদান করতে হয়। তিনি জানান, অন্তত জনা পনের যৌনকর্মী উপায় না দেখে চলে গেছেন।
[৬] রচেল ও মাদ্রিদের ওই নারীর মত অনেকে বলছেন কোনো রকমে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাওয়াই এখন আমাদের অধিকার হয়ে গেছে। অনলাইনে অনেক চেষ্টা করেও তারা কোনো খদ্দের পাচ্ছেন না।
[৭] এ্যালেনচার কপাল ভাল তার মত যৌনকর্মীকে বাড়িওয়ালা দরজা দেখিয়ে দেয়ার পর তাদের অধিকার সংগঠনের হস্তক্ষেপে রাস্তায় নামতে হয়নি। কিন্তু বাচ্চাকে কি খাওয়াবেন তিনি তা ভেবে পাচ্ছেন না। হুট করে লাইফস্টাইল পাল্টাবেন সে সুযোগও দেখছেন না।
আপনার মতামত লিখুন :