ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] মোড়ে মোড়ে অপেক্ষায় রাইড শেয়ারের বাইক। রাজধানীতে একমাত্র বাস ছাড়া সব ধরণের যানবাহন চলছে। পাশাপাশি অ্যাপস ভিত্তিক রাইড শেয়ারিংয়ের চালকদের ভীড় দেখা যাচ্ছে আগের মতই। গুরুত্বপুর্ণ মোড়ে মোড়ে মোটারসাইকলে নিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে বাইক চালকদের। এদের কারো গায়ে পিপিই আছে আবার কেউ শুধু মাস্ক পরে আছেন। এছাড়া চুক্তিতে এ্যাম্বুলেন্সও চলছে পুলিশের চোখের সামনেই।
[৩] সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা। মিরপুর শেওড়াপাড়া বাসস্টান্ডের সামনে বেশকটি মোটরসাইকেল চালক অপেক্ষা করছেন যাত্রীর জন্য। কিছুক্ষণ পর পর তারা পেয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন রুটের যাত্রী। পাশাপাশি ১০ নম্বর থেকে আসা কয়েকটি এ্যাম্বুলেন্স চালক এসে যাত্রীদের কাছে জানতে চাইছে গন্তব্য। অনেকেই দরদাম ঠিক করে উঠে বসছেন এ্যাম্বুলেন্সে। এছাড়াও সিএনজি অটোরিকশায় গাদাগাদি করে চারজন করে যাত্রী নিতে দেখা গেছে।
[৪] সকাল ৯টার দিকে মিরপুর রোডের সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে প্রচন্ড গাড়ির চাপ। শুধু প্রাইভেটকার, মাইক্রেবাস, পিকআপ ভ্যান ও সিএনজি অটোরিকশা। সরকারি ছুটির দিনগুলোতে এ সড়কে তেমন একটা ভীড় না হলেও গত দুদিন ধরে গাড়ির চাপ বেড়েছে। হাসপাতালের সামনে দেখা গেছে ৮/৯ টি মোটরসাইকেল। তারা সকলেই রাইড শেয়ার চালান।
[৫] মিলন নামের এক বাইকার বলেন, কতদিন আর ঘরে বসে থাকা যায়। পের্টে দায়ে বাইক নিয়ে বের হতে বাধ্য হয়েছেন। সুরক্ষা সামগ্রী বলতে শুধু মাস্ক। করোনা প্রসঙ্গে মিলন বলেন, আল্লাহ ভরসা কিছু করার নাই, সংসার টিকাতে হলে রাস্তায় নামা ছাড়া উপায় নেই।
[৬] সকাল ১০টার দিকে ফার্মগেটে গিয়ে মানুষের চাপ কম দেখা গেলেও প্রধান সড়কে গাড়ির চাপ লক্ষ করা গেছে। তবে পুলিশ বক্স আর আল রাজী হাসপতালের সামনে রাইড শেয়ারের বাইকারদের উপস্থিতি রয়েছে চোখে পড়ার মত।
[৭] ফার্মগেটে ট্রাফিক পরিদর্শক আলতাফ হোসেন বলেন, গত দুদিন ধরে গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। বিজয় স্মরনী মোড়ে এতদিন ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও তাদের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে হয়নি। তবে এখন গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
[৮] গার্মেন্টস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ায় সড়কে মানুষের চাপ বেড়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা-টাঙ্গাইল বা আব্দুল্লাহপুর রুট হয়ে ঢাকায় ঢুকছেন কর্মজীবীরা। কিন্তু সরকারি নিষেধাজ্ঞায় রাস্তায় নেই কোন বাস। তাই ভরসা রিকশা, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, ট্রাক, পিকআপ বা প্রাইভেটকার। সামর্থ অনুযায়ী যে যেভাবে পারছে ব্যবহার করছে এসব পরিবহন। এসব দেখভালে সড়কের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশের অবস্থান থাকলেও এসব যানবাহন সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
[৯] গাবতলী এলাকায় দায়িত্বরত এক ট্রাফিক সার্জেন্ট বলেন, সড়কে বাস ছাড়া অন্যান্য যানবাহন সীমিত আকারে চলছে। সামাজিক দূরত্ব মানতে সবাইকে সতর্ক করছি। এছাড়া রাস্তায় রাইড শেয়ারিংয়ের মাঝে মাঝে কিছু বাহন দেখা যায়। তাদের রাস্তায় না থাকতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু মানুষের চাপে এসব যানবাহন সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। করোনার মধ্যেও ঢাকামুখী চাপ যেভাবে বাড়ছে, তাতে অচিরেই মহা কর্মব্যস্ত ও যানজনের পুরনো রূপে ফিরে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :