সিরাজুল ইসলাম: [২] এক মাসের মধ্যে রোববার সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর এ আশঙ্কার কথা জানালেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। এরই মধ্যে কর্তৃপক্ষ লকডাউন শিথিল করতে শুরু করেছে। রয়টার্স
[৩] প্রেসিডেন্ট বলেন, করোনা শেষ হয়ে যায়নি। যতক্ষণ এটা শেষ না হয়, ততক্ষণ এটাকে শেষ বলা যাবে না। গুচ্ছ আকারে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। এ বছরের শেষ দিকে এ ভাইরাস দ্বিতীয় বারের মতো আঘাত হানতে পারে। আমরা একটা যুদ্ধের মধ্যে আছি। দৈনন্দিন জীবনে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
[৪] দ্য কোরিয়া সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (কেসিডিসি) রোববার ৩৪ নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানায়। ৯ এপ্রিলের পর এটা সর্বোচ্চ রোগী। একটি নাইট ক্লাব থেকে এ সংক্রমণ হয়েছে। এরপরই সব নাইট ক্লাব এবং বিনোদন কেন্দ্রগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
[৫] স্বাস্থ্যমন্ত্রী পার্ক নিউয়ং-হু বলেন, পরিকল্পনা মতো ১৩ মে থেকে স্কুল খুলে দেয়া হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তবে নাইট ক্লাব খুলে দেয়ার কী প্রভাব পড়ে তা দুইতিন দিন দেখতে হবে।
[৬] চীনের বাইরে দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ব্যাপক পরীক্ষা, শারীরিক দূরত্ব মানা, কন্টাক ট্রেসিং ও অ্যাপ ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় দেশটি। কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ১০ জন বা এর চেয়ে কম করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছিল। গত ১০ দিনে দেশের অভ্যন্তরে কোনও রোগী শনাক্ত হয়নি।
[ ৭] কেসিডিসি বলছে, নাইট ক্লাবে যাওয়া এক হাজার ৯০০ লোককে আমরা শনাক্ত করছি। এ সংখ্যা ৭ হাজার পর্যন্ত হতে পারে। তাদের ১৪ দিন কোয়ারেনটাইনে থাকতে হবে। তাদের করোনা পরীক্ষা করা হবে।
[৮] এ পর্যন্ত দেশটিতে ১০ হাজার ৮৭৪ করোনা রোগী শনাক্ত এবং ২৫৬ জন মারা গেছে। ওয়ার্ল্ডোমিটার
আপনার মতামত লিখুন :