সালেহ্ বিপ্লব : [২] ১৮৯০ সালের রেলওয়ে আইনের ১১৪ ধারায় টিকিট হস্তান্তর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু এই আইন কেউ মানে না। শুধুমাত্র স্লিপিং কোচে রিজার্ভেশনের সময় যাত্রীর নাম এন্ট্রি করা হয়, তাও ওই যাত্রী ভ্রমণ করছেন কি না, তা চেক করা হয় না।
[৩] পৃথিবীর কোনো দেশে একজনের টিকেটে অন্যজন ভ্রমণ করতে পারে না। ভারতে কোনো যাত্রী যদি তার ন্যাশনাল আইডি কার্ড দেখাতে না পারে কিংবা টিকিটে লিখা নামের সাথে আধার কার্ডের নাম না মিলে, তাকে পরবর্তী স্টেশনে নামিয়ে দেয়া হয়।
[৪] এই পদ্ধতিই কাজে লাগাতে চাইছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। যার নামে টিকেট তাকেই ভ্রমণ করতে হবে, সঙ্গে রাখতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র, এমনই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
[৫] রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন জানান, রেলওয়ের সার্ভারকে নির্বাচন কমিশন এনআইডি সার্ভারের সাথে হুক আপ করতে হবে। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে।
[৬] তিনি জানান, কোনো জটিলতা নেই, সামান্য প্রসেস। ইসির সার্ভারের মোট ক্ষমতার মাত্র ২০% এখন ব্যবহার হচ্ছে। ৮০% অব্যবহৃত। কাজেই লাখ লাখ হিট একসাথে হলেও সার্ভার হ্যাং হবে না।
[৭] অতিরিক্ত সচিব আরো জানান, রেলটিকেট কিনতে হলে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এনআইডি নাম্বার দিয়ে। এনআইডি সার্ভার ভেরিফাই করে ওকে করলে যাত্রী একটা পিন নাম্বার পাবেন। আইডেন্টিক্যাল এই নাম্বার দিয়ে সব সময় টিকিট কেনা যাবে।
[৮] শুরুতে এই পদ্ধতি সব ট্রেনে কার্যকর করা অনেকটা কঠিন হবে। তবে বিরতিহীন ও আন্তঃনগর ট্রেনে কার্যকর করা যাবে খুব সহজেই।
আপনার মতামত লিখুন :