মাজহারুল ইসলাম : [২] গত ২ মে থেকে সেখানে করোনা আক্রান্ত ও সাসপেকটেড রোগী ভর্তি শুরু হয়। রোববার পর্যন্ত সেখানে ৮৯ জন ভর্তি রোগী মারা গেছে। আর ২ জন মারা গেছে জরুরি বিভাগে। মোট মৃতের সংখ্যা ৯১। এদের মধ্যে ৭ জনের করোনা পজিটিভ ছিল। ২ মে প্রথম দিনেই ১ জন মারা যায়। এই ৯ দিনের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ১৫ জনের।
[২] ঢামেক কোভিড ইউনিটের ওয়ার্ড মাস্টার মো. রিয়াজ জানান, বর্তমানে হাসপাতালে রোগী ভর্তি আছেন ১৯৫জন। এর মধ্যে আইসিউতে আছেন ১০জন। গত ২ মে থেকে ১০মে পর্যন্ত রোগী ভর্তি হয়েছিল প্রায় প্রায় ৬০০ জন। অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাসায় গেছেন। আবার অনেকেই হাসপাতালের কাউকে কিছু না বলে চলে গেছে।
[৩]ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা আমার জানা নেই। তবে মৃত্যুর হার ৯ দিনে অনেক। এদের মধ্যে করোনা সন্দেহের সংখ্যা অনেক বেশি। পাশাপাশি কোভিডে আক্রান্ত হয়েও মারা গেছে কয়েকজন। হার্টের রোগী, শ্বাসকষ্ট নানা ধরনের অসুখ নিয়ে রোগীরা সরাসরি কোভিড ইউনিটে ভর্তি হচ্ছে।
[৪] ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, আগামী ২দিনের মধ্যে হাসপাতালের নতুন ভবনে কোভিড রোগীদের জন্য ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে পারব। সেখানে হৃদরোগ বিভাগসহ মেডিসিন বিভাগ রয়েছে। কোভিড আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি তারা অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত হলে সেখানে দ্রুত চিকিৎসা দিতে পারবে। ঢামেক বার্ন ইউনিট কোভিড ইউনিটকে সার্জারি ইউনিট করা হবে। এখানে কোভিড রোগীদের ভর্তি করে সার্জারির বিষয়টি দেখা হবে।বাংলানিউজ২৪, সারাবাংলা
আপনার মতামত লিখুন :