গোলাম মোর্তোজা : কার্টুনিস্ট কিশোরকে চিনতাম বাংলাদেশের অন্যতম ভালো রম্য লেখক আহসান কবিরের ছোট ভাই হিসেবে। কিশোর কার্টুন আঁকে, পত্রিকায়-বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করে। তারপর অনেক বছর কোনো যোগাযোগ নেই। কী করে তাও জানি না। দিদারের সঙ্গে সামনাসমানি পরিচয় নেই। রাষ্ট্রচিন্তার সূত্রে কিছুটা জানি। এই করোনাকালে দিদাররা তাদের সাধ্যমতো গরিব মানুষের খাদ্য যোগান দেওয়ার কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন। হঠাৎ করে জানলাম কিশোর গ্রেপ্তার হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। কার্টুন এঁকে এবং ফেসবুকে তা পোস্ট দিয়ে অপরাধ করেছে কিশোর। গুজব ছড়িয়েছে, সম্মানহানি করেছে, অভিযোগ এমনই।
আর দিদার নাকি কিশোরকে সহায়তা করেছে বা এ জাতীয় কিছু। পুলিশ কিশোরের দেহ তল্লাশি করে একটি স্যামসং মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করেছে। ঠিক কোন মডেলের স্যামসং সেট তা জানার সুযোগ হয়নি। কিশোরের আঁকা কার্টুনগুলো এখন ফেসবুকে ঘুরছে। এসব কার্টুনে অপরাধের কোনো আলামত অনুধাবন করতে ব্যর্থ হলাম। অবশ্য আমাদের অনুধাবন করা দিয়ে তো আর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন চলে না। তোষামোদকারী-সুবিধাভোগীরা যে পেশাজীবীদের নেতা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কেনÑ সামনে এর চেয়েও ভয়ংকর কিছুই তো অপেক্ষা করার কথা। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :