বিপ্লব পাল : সকালে কস্টকোতে গিয়ে দেখি ইয়া লম্বা লাইন। কাউন্টারে চেক আউট করাতে প্রায় শখানেক লোকের লাইন। পেপার টাওয়াল সকাল ৯টার মধ্যেই শেষ। সেখান থেকে স্টারবাকসে গিয়ে দেখি বিশাল কিউ। গাড়ির সারি চলেছে। আমেরিকার অর্থনীতি দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে বলেই মনে হচ্ছে। কারণ এখানে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং সমস্যা নয়। বেশিরভাগ ভালো লোক আমাদের মতো মফস্বল শহরে থাকে। গাড়িতেই কমিউট করে। ফলে দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন নয়। কতো আর মরবে? ২-৩ লাখ খুব বেশি হলে যার ৯০ শতাংশ আবার কোমরবিডিটি। সেটা কিছুই নয়। আমেরিকাতে প্রতি বছর ২৭ লাখ লোক মরে। ৫-১০ শতাংশ বেশি লোক মরবে। তার বেশি কিছু নয়। সোশ্যাল ডিসট্যান্স চালু থাকলে, রেস্টুরেন্ট, স্কুল-কলেজ বন্ধ, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বন্ধ থাকলে, ভাইরাস খুব বেশি ক্ষতি করবে না।
কেনাকাটা খুব বেশি কমেছে বলে মনে হচ্ছে না। কিন্তু সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রি ঝটকা খেয়েছে। কনস্ট্রাকশন, এন্টারটেইনমেন্ট, রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া এগুলো বন্ধ। লো কস্ট টেক আউট ভালোই চলছে। পাড়ার এক চাইনিজ দোকানে খাবার তুলতে গেলাম কালকে। দেখি অনেক অর্ডার অপেক্ষা করছে। মালকিনকে জিজ্ঞেস করলাম ব্যবসার হাল হকিকত। সে তো দেখি খুব খুশি। তবে দামি রেস্টুরেন্টে লালবাতি জ্বলছে। আর হ্যাঁ মাস্ক আছে মানেই করোনা ধরবে না। খুব ভুল ধারণা। মাস্কে খুব বেশি কিছু আটকায় না। সামান্যই আটকায়। সুতরাং সোশ্যাল ডিসট্যান্স মেইনটেইন করুন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :