রবিউল আলম :জাতির দুর্দিনে সমাজে পরিবর্তন আসে, মানুষের মনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। সব বিষয় আলোচনা করতে না পারলেও আমাদের গর্বিত নিরাপত্তা বাহিনী পুলিশের ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে কিছুটা আলোচনা করা যায়। বিশেষ করে করোনাভাইরাসে পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে আলোচনা না করলে জাতি হিসেবে অকৃতজ্ঞ হতে হবে।
করোনার সূচনালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত এই বাহিনীর মানবিকতা জাতিকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। মাকে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে পুনর্বাসন, করোনা বহনকারীকে হাসপাতালে পৌঁছানো, মানবিক খাদ্য সহায়তা, জনজীবনের নিরাপত্তাসহ পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা আজ সবার মুখে মুখে। এই পুলিশকে আমরা চিনতে পারছি না। পুলিশের উদারতা, করোনায় জনজীবনের অসহায়তা, কোয়ারেন্টাইনে থাকার সুযোগে মাদক কারবারিরা অভয়ারণ্য গড়ে তুলেছে, একরকম বলা যায় বিনা বাধায় মাদক সা¤্রাজ্য বলতে পারেন। প্রতিটি পাড়ায়-মহল্লায় মাদকের দৌরাত্ম্য চলছে। ইতোমধ্যে অনেক পুলিশ অফিসার ও পুলিশ বাহিনী করোনা আক্রান্ত, ইচ্ছার বিরুদ্ধেও চেষ্টা চলছে সামাজিক নিরাপত্তার। কতোটুকু সম্ভব আমাদের সবাইকে ভাবতে হবে।
রায়ের বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ৩ জন পুলিশ করোনায় আক্রান্ত, লকডাউন চলছে।এমনিতেই পুলিশের জনবল সন্তোষজনক নয়, তারপরও জননিরাপত্তার সঙ্গে দেশের করোনাকে মোকাবেলায় পুলিশ তার সাধ্যমতো শ্রম দিয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তায় ও করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতনতায় সর্বসাধারণের ভূমিকা আজ প্রশ্নবিদ্ধ। এই সুযোগটি নিয়েছেন মাদক ব্যবসায়ীরা। জনগণের দায়িত্ব ও সচেতনতাই পারে সমাজকে পরিবর্তন করতে। বিশ্বের কোনো আইন বাস্তবায়ন হবে না হতে পারে না নাগরিক প্রতিবাদ, প্রতিরোধ গড়ে না উঠলে। আমি আশাবাদী সেদিন বেশি দূরে নয়, মাদকমুক্ত বাংলাদেশ। সমাজকে জেগে উঠতেই হবে, বিকল্প নেই আমাদের সন্তানদের রক্ষা করার। লেখক : মহাসচিব বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
আপনার মতামত লিখুন :