ইস্রাফিল হাওলাদার: [২] রোববার (১০ মে) বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার রশিদাবাদ ইউনিয়নের লতিবপুর শ্রীমন্তপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারসেল ও ফাঁকা গুলি করে। প্রায় তিন ঘণ্টা পর পুলিশ ও র্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
[৩] পুলিশ জানায়, শ্রীমন্তপুর গ্রামের রইছ মেম্বারের সাথে একই এলাকার পারভেজের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে রোববার সকালে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। বিকেলে আবারও দুই পক্ষ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের বেশ ক’জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় একই এলাকার নূরুল ইসলাম নামে এক পথচারী।
[৪] এক পর্যায়ে গ্রামের মাইকে নূরুল ইসলাম মারা গেছে বলে ঘোষণা দেয়া হলে পুরো গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নূরুল ইসলামকে নিজেদের লোক দাবি করে গ্রামের একটি পক্ষ শ্রীমন্তপুর এলাকায় অন্তত ৩০টি বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে আগুন লাগিয়ে দেয়।
[৫] কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মোবারক হোসেন জানান, খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ, তাড়াইল ও ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
[৬] ঘটনার পর পর কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আনোয়ারের নেতৃত্বে বিপুল পরিমাণ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
[৭] এ দিকে ঘরবাড়িসহ সহায়-সম্বল হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলা খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সূত্র: সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :