মো. আখতারুজ্জামান : [২] ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান প্রতিষ্ঠানগুলো এখন থেকে তাদের কার্যক্রম সীমিত আকারে পরিচালনা করেতে পারবে। শনিবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে দেশের সনদপ্রাপ্ত ক্ষুদ্র ঋণপ্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পাঠিয়েছে ক্ষুদ্র ঋণপ্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি।
[৩] প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধের জন্য গত ২৫ মার্চ-এ সব ধরনের ঋণ প্রাদন ও কিস্তি নেয়ার কার্যক্রম বন্ধ রাখার হয়। তবে নির্দেশনাবলি অনুসরণজনিত কারণে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ন্যায় ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানসমূহের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায়ও সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটছে যা দৃর্শমান।
[৪] এ অবস্থায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে জরুরি ত্রাণ বিতরণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা, জরুরি প্রয়োজনে গ্রাহকের সঞ্চয় ফেরত, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে রেমিটেন্স সেবা প্রদান, এজেন্ট ব্যাংকিং এর কার্যক্রম পরিচালনা এবং কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদানের ন্যায় জরুরি কার্যক্রমসমূহের পরিচালনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মর্মে জানা যাচ্ছে।
[৫] এছাড়া এসময়ে দেশে বোরো ফসল কাটাসহ নতুনভাবে চাষাবাদ সম্পন্ন করা অ-শস্য কৃষি উদ্যোক্তাদের নতুনভাবে বিনিয়োগ বা বিদ্যমান কার্যক্রম পরিচালনার ব্যয় সংকুলান করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণের পর্যাপ্ত চাহিদা রয়েছে। এ অবস্থায় বর্ণিত খাতসমূহে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ঋণ বিতরণ অব্যাহত রাখা জরুরি হয়ে পড়েছে।
[৬] ক্ষুদ্রঋণ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য জরুরি সেবা চলমান রাখার জন্য সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশাবলি যথাযথভাবে অনুসরণসহ সরকাররে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে পালন করে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানসমূহ সীমিত আকারে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।