মঈন উদ্দীন, রাজশাহী প্রতিনিধি: [২] দেশের সমস্ত জেলাতে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে। তবে এখনও করোনামুক্ত রয়েছে বিভাগীয় শহর রাজশাহী।
[৩] প্রশাসনের তৎপরতায় তা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা। তবে এখন নগরীর দোকানপাট—মার্কেট খুলে দিলে এ শহরকে নিরাপদ রাখা সম্ভব হবে না বলেও অভিমত তাদের।
[৪] করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেন রাজশাহী সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন ও সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। সরাসরি তারা এ সংক্রান্ত সবগুলো সভায় উপস্থিত থাকেন। মতামত দেন। নগরকে করোনামুক্ত রাখতে এ দুই নেতার নির্দেশনা অনুযায়ী যথাসাধ্য কাজও করেছেন প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
[৫] স্বাস্থ্য বিভাগের একজন পদস্থ কর্মকর্তা জানান, ৮ মার্চ দেশে প্রথম রোগী শনাক্তের পর দেশের মধ্যে সবার প্রথম দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ করা হয় রাজশাহীতেই।
[৬] করোনাভাইরাস মোকাবেলায় কর্মরতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা শুরু থেকেই প্রতিটি বিষয়ে তদারকি করছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা আছে চোখে দেখার মত।
[৭] গত ১২ এপ্রিল রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়। গোটা রাজশাহী বিভাগের মধ্যে এখানেই প্রথম শনাক্ত হন কোনো ব্যক্তি। এরপর মোট ১৭ জন শনাক্ত হয়েছেন। জেলার পুঠিয়া উপজেলায় ৫ জন, দুর্গাপুরে ২ জন, বাগমারায় ১ জন, মোহনপুরে ৪ জন, তানোরে ৩ জন এবং পবায় ১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। সম্পাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :