রাজু আলাউদ্দিন : [২] ঝিনাইদহে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে চালু করা হয়েছে কার্ড ও টোকেন পদ্ধতি। পৌর এলাকার বাসিন্দাদের হোল্ডিং নম্বর দিয়ে দেয়া হয়েছে অস্থায়ী কার্ড। যা দেখিয়ে প্রত্যেকে ১৫ দিন পর পর মালামাল কিনতে পারছেন।
[৩] এদিকে প্রতিদিন জেলা প্রশাসনের দেয়া টোকেনের মাধ্যমে কার্ডধারীরা ডিলারদের কাছ থেকে পণ্য কিনছেন। ফলে বন্ধ হয়েছে ডিলারদের কারসাজিও।
[৪] ঝিনাইদহে ১ এপ্রিল পণ্য বিক্রি শুরু করে টিসিবি। শুরুর দিকে লাইনে দাঁড়িয়ে একই ব্যক্তি প্রতিদিন পণ্য ক্রয় করছিলেন এমন অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দোকানের কর্মচারীদের লাইনে দাঁড় করিয়ে পণ্য কিনে মজুত করছিল বলেও অভিযোগ পায় জেলা প্রশাসন। মূলত এটা প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন ও ঝিনাইদহ পৌরসভা চালু করেছে কার্ড পদ্ধতি।
[৫] পৌর এলাকার বাসিন্দাদের বাসার হোল্ডিং নম্বর দিয়ে অস্থায়ী কার্ড সরবরাহ করা হয়। ১৫ দিন পর পর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়িয়ে স্বল্প দামে পণ্য ক্রয় করছেন কার্ডধারীরা। সেই সাথে পণ্য বিক্রিতে ডিলারদের স্বচ্ছতা আনতে লাইনে দাঁড়ানো ক্রেতাদের হাতে দেয়া হচ্ছে জেলা প্রশাসনের টোকেন। দিনের নির্দিষ্ট সময়ে কী পরিমাণ পণ্য বিক্রি করা হয়েছে টোকেনের মাধ্যমে তার হিসাব দেয়া হচ্ছে। কার্ড ও টোকেন পদ্ধতি চালু হওয়ায় খুশি ক্রেতারা।
[৬] প্রকৃত ব্যক্তিদের পাওয়া নিশ্চিত করতে ও মজুতদারি বন্ধ করতেই এ ব্যবস্থা বলে জানান ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ। জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত পৌর এলাকায় ১০ হাজার কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। ৩টি স্থানে ট্রাক সেলের মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ৭০০ জন উপকারভোগী তেল, চিনি, ডাল, খেজুর ও ছোলা কিনতে পারছেন। সময় টিভি