[১] রেমিটেন্সে ধস, প্রবাসীদের ওপর স্বজনদের নির্ভরতা কমানোর আহ্বান
রাজু আলাউদ্দিন : [২] বৈশ্বিক করোনার আগ্রাসনে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের গতিতে ভয়াবহ ধস নেমে এসেছে। করোনায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণে এ মুহূর্তে দেশে রেমিটেন্স পাঠানোর চিন্তা করছে না বলে জানান স্বজনরা। এ অবস্থায় বিদেশ থাকাদের ওপর নির্ভরতা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রবাসীরা।
[৩] গত অর্থবছরে এক হাজার ৮৩৩ কোটি ডলার পাঠিয়ে দেশের ইতিহাসে রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রবাসীরা রেকর্ড গড়েছিলেন। কিন্তু চলতি অর্থবছরের শেষ দিকে এসে বিশ্বময় করোনার ভয়াবহ আগ্রাসনে তছনছ হয়ে গেছে। এই বিপর্যস্ত অবস্থায় প্রবাসীদের পক্ষে রেমিটেন্স পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।
[৪] ২০১৯ সালের প্রথম চার মাসের সঙ্গে চলতি বছরের প্রথম চার মাসের তুলনা করতে গিয়ে রেমিটেন্স প্রবাহের এক ভয়াবহ পরিসংখ্যান তুলে ধরেন সিলেট পূবালী ব্যাংকের মহিলা কলেজ শাখার ব্যবস্থাপক জাকিয়া সুলতানা। বলেন, ২০১৯ সালে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত রেমিটেন্স এসেছিল ১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকার মতো। এবছর যদি বিশ্লেষণ করি সেখানে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র চার কোটি ২২ লাখ টাকা মাত্র এসছে।
[৫] এমন পরিস্থিতিতে রেমিটেন্সের দিকে না তাকিয়ে দেশের অর্থনীতিকে একটি টেকসই ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর জন্য সরকারকে উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আলমগীর কুমকুম।
[৬] আর করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সাথে সাথে দেশে ফেরত আসা জনবলকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য বাংলাদেশের বিদেশি মিশনগুলোকে সক্রিয়ভাবে কাজ করার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক খন্দকার সিপার আহমদ।
[৭] গত বছরের ১ জুলাই থেকে রেমিটেন্স এর বিপরীতে সরকার বিশেষ ২ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া শুরু করে। প্রণোদনা দেয়ায় প্রবাসীরা বৈধ পথে দেশে বেশি টাকা পাঠানোতে রেমিটেন্স প্রবাহে সৃষ্টি হয়েছিলো রেকর্ড। সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :