সাইদ রিপন : [২] অপ্রধান শস্য যেমন পেঁয়াজ, রসুন, আদা, আখ, চা, আম, কাঁঠাল, মরিচ, সরিষা, মসুর, ভুট্টাসহ ইত্যাদি ফসল রয়েছে। গত ৫০ বছরে এ ফসলগুলোর উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পরিপূর্ণভাবে মেটানো সম্ভব হচ্ছে এবং কৃষকের আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। অপ্রধান শস্যের আমদানি কমানোর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় ও দারিদ্র্য বিমোচনে অবদান রেখে দেশের অর্থনীতি ত্বরান্বিত হয়েছে।
[৩] বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) স্বাধীনতার পর দেশের বিভিন্ন সেক্টরের অর্জন নিয়ে ‘বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির তথ্য-উপাত্ত বিশ্লষণ’ শীর্ষক রিপোর্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে
[৪] রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৯৬৯-৭০ সালে দেশে শূণ্য দশমিক ৮২ লাখ একর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করে উৎপাদন হতো এক দশমিক ৭৯ লাখ টন। সেখানে এ হার বৃদ্ধি পেয়ে গত ২০১৮-১৯ সালে ৪ দশমিক ২৬ লাখ একর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করে উৎপাদন হয়েছে ১৮ দশমিক ০৩ লাখ টন। একই সাথে রসুন, আদা, কাঁচামরিচ, কাঁঠাল ও চায়ের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি হয়েছে।
[৫] বিশেষ করে ১৯৬৯-৭০ সালে ভুট্টার শূণ্য দশমিক শূণ্য ৮ লাখ একর জামিতে চাষ করে শূণ্য দশমিক শূণ্য ৩ লাখ টন উৎপাদন হতো। সেখান থেকে বর্তমানে ১১ লাখ একর জামিতে ভুট্টা চাষ করা হচ্ছে। যার উৎপানদ প্রায় ৩৫ দশমিক ৬৯ লাখ টন।
[৬] রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে ভুট্টা মানুষের খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া ভুট্টার ফিড মাছ এবং হাঁস-মুরগির খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং ভুট্টার গাছ ও সবুজ পাতা উন্নতমানের গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যার ফলে চাষ এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :