শিরোনাম
◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সেই সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১০ মে, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ১০ মে, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঈদ কেনাকাটায় ছোট দুটো কথা!

রাশেদা রওনক খান : দেখতে পাচ্ছি, শুরু হয়ে গেছে অনলাইনে বিভিন্ন প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন। সামনে ঈদ। কিছু মানুষের অবশ্যই আর্থিক সামর্থ্য আছে কেনাকাটা করার হয়তো, তবে সবার মন এতোটা শক্ত নেই যে সবাই কেনাকাটা করবেন। কিন্তু যারাই কেনাকাটা করার কথা ভাবছেন, তাদের জন্য দুটো কথা :
প্রথমত. আমরা ভাবতে পারি, এই টাকাটা যদি এবার কিছু গরিব মানুষদের দিয়ে দিই, তাহলে হয়তো তাদের পরিবারটা একটা মাস ভালোমন্দ কিছু খেয়ে থাকতে পারবে। আমার/আপনার অনেক পোশাক আলমিরাতে আছে, সেখান থেকে একটা নামিয়ে পরলে ঈদের দিন ক্ষতি নেই। তাই এই ঈদে পোশাক না কিনে টাকাটা আশপাশের গরিব মানুষজনদের দিয়ে দেওয়া যায় কিনা একটু ভাবতে পারি। কেননা নতুন করে কাপড় কিনে বেশি লাভ নেই, করোনার এই বিপর্যয়ে বাসা থেকে বের হতে না পারলে নতুন কাপড় দিয়ে কী হবে? আত্মীয়স্বজন-বন্ধুবান্ধবদের উপহার দেওয়ার যে রেওয়াজ আমাদের আছে, তাদের সঙ্গে আলাপ করে নিতে পারি যে, এবার উপহার না দিয়ে গরিবদের সাহায্য করছি। নিশ্চয়ই সবাই আমাদের এই ভাবনাকে শ্রদ্ধাই জানাবে। এমনকি যাকাতেও এবার কাপড় দেওয়ার চেয়ে বরং টাকা দিয়ে দিলে গরিব মানুষজন উপকৃত হবেন, আমি নিশ্চিত।
দ্বিতীয়ত. যদি একান্তই মন চায় কিনতে, তাহলে যেন দেশীয় পণ্য ক্রয় করি প্লিজ। আপনার আমার একটা পণ্য কেনা মানে আমাদের দেশের একজন উৎপাদককে কিছুটা এই দুর্যোগময় মুহূর্তে সাহায্য করা। হয়তো এই উৎপাদনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের অনেক শ্রমিক। তারা কোনো না কোনোভাবে আমাদের এই প্রোডাক্ট কেনার মধ্য দিয়ে উপকৃত হবেন। অনেক উদ্যোক্তারা কষ্ট করে তাদের প্রতিষ্ঠান হয়তো কিছুটা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু করোনা প্রকোপে থমকে গেছে। তাদের সাহায্য করতে পারি। কোনোভাবেই এই বছর ভিনদেশি পণ্য নয়, নিজ দেশের পণ্য কিনতে হবে। এমনিতেই করোনার কারণে আমাদের অর্থনীতির চাকা অনেকটাই থমকে যাচ্ছে, তাই আমার আপনার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা হয়তো দেশকে সাহায্য করবে। আমাদের তো দেশকেই আগে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যতোই আমরা ‘সীমিত আকারে শপিংমল’ খোলা নিয়ে সীমিতভাবে সমালোচনা করি, আসলে দেশে অর্থনৈতিক কোনো বিপর্যয় ঘটলে সারাদেশের মানুষ হুমকির মাঝে পড়ে যাবে। তাই শপিংমল বর্জন করার সঙ্গে সঙ্গে ভিন দেশি পণ্যকেও বর্জন করি। কারণ দেশ বাঁচানোর দায়িত্বও কিন্তু আমাদের। এই দায়িত্ব সরকারের যেমন, আমাদের সাধারণেরও। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়