ফিরোজ আহমেদ : ঢাকা ও চট্টগ্রামের অনেকগুলো মার্কেট ও বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এটা থেকে কিন্তু একটা বিষয় পরিষ্কার, এ সব ব্যবসায়ীদের চাপে সরকার লকডাউন তুলে নেয়নি, সরকার বরং তাদের অজুহাত তুলে জনগণের উপর করোনার বোঝা চাপিয়ে দিতে চেয়েছিলো। কারণ? একমাত্র কারণ বিজিএমইএ নামের দৈত্যে পরিণত হওয়া গোষ্ঠীটির তুষ্টিসাধন। পোশাক কারখানা খুলে রাখাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য বাকি সব কিছুকে খুলে রাখা। কালকে দেখলাম, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির নিজস্ব গবেষণায় দেখা গেছে ৯৮ জন পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বাংলাদেশে যে অসুখটা প্রায় নিয়ন্ত্রিতই ছিলো বলা যায়, মালিকদের লোভের বলি হয়ে সেটাকে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুধু খাদ্য, ওষুধ আর ঘর ভাড়ার মতো কিছু সাহায্য পেলেই বাংলাদেশে লকডাউন সম্পূর্ণ কার্যকর করা যেতো। কোনো রকম কোনো অস্থিরতাই দেখা যেতো না। মানুষ আগে, অর্থনীতি পরে। কারণ যদি পোশাকশিল্প খুলে রাখার কারণে করোনা ছড়াতে থাকে, অর্থনীতি আরও বেশিদিনের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেই সম্ভাবনা কিন্তু দেখা যাচ্ছে। সারা দুনিয়ায় করোনা খুব ধীরে হলেও কমছে, শুধু অপোগ- কিছু রাষ্ট্রে বাড়ছে ক্রমাগত হারে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :