শিরোনাম
◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান

প্রকাশিত : ১০ মে, ২০২০, ০২:৩৭ রাত
আপডেট : ১০ মে, ২০২০, ০২:৩৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জরুরি কাজে যারা নিয়োজিত প্রতিদিন তাদের টেস্ট কি অসম্ভব একটা বিষয়!

জাহিদ নেওয়াজ খান জুয়েল : অন্তত র‌্যাপিড টেস্টটা এক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে। ২৫-৩০% যে ফলস রেজাল্টের কথা বলা হচ্ছে, প্রতিদিন টেস্ট হলে সেই ঝুঁকি থাকবে না। অংকের হিসাব বলে, প্রতি ৪ দিনে অন্তত ৩ দিন সঠিক রেজাল্ট আসবে।

প্রস্তাবটা গণমাধ্যম বিশেষ করে বেসরকারি খাতের টেলিভিশন কর্মীদের জন্য, যাদের একটি অংশকে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।

গণমাধ্যম কর্মীদের এরকম টেস্টের আওতায় আনার সুপারিশ করছি কারণ কিছু ঘটনায় প্রমাণ হয়ে গেছে যে, বেসরকারি খাতের এ কর্মীদের এমনকি জরুরি অবস্থাতেও হাসপাতালে নেওয়ার মতো অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায় না, হাসপাতালে নেওয়ার পর তারা চিকিৎসাও পান না।

চিকিৎসক-পুলিশসহ সরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের ফ্রন্টলাইনারদের জন্য তবু সরকারের পক্ষ থেকে কিছু না কিছু ব্যবস্থা আছে। কিন্তু, বেসরকারি খাতের গণমাধ্যম কর্মীরা অনেকটা এতিম অবস্থায় পড়ে যাচ্ছেন।

আগাম টেস্ট এক্ষেত্রে কর্মীদের কিছুটা সুরক্ষা দিতে পারে। যেহেতু গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বনিম্ন কর্মী দিয়ে অপারেশনে আছে, তাই র‌্যাপিড টেস্টের যে খরচ তা আশা করি গণমাধ্যম মালিকরা বহন করতে পারবেন। আর যিনি পারবেন না, তিনি আপাতত কর্মীদের বেতন-ভাতা নিশ্চিত করে তার প্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ রাখতে পারেন।

র‌্যাপিড টেস্টের বাইরেও গণমাধ্যম মালিক এবং তাদের সংগঠনগুলোর আরো কিছু উদ্যোগ নেওয়া জরুরি:

১. কেউ অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা।

২. এক বা একাধিক হাসপাতাল নিশ্চিত করা যেখানে চিকিৎসকরা গণমাধ্যম কর্মীদের চিকিৎসার নিশ্চয়তা দেবেন।

৩. কেউ অসুস্থ হলে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান তার চিকিৎসার খরচ বহন করবে।

৪. অন্য সাধারণ ছুটির সময় গণমাধ্যমগুলো যেমন বিশেষ ব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠান চালু রাখতে ওভারটাইম ভাতা দিয়ে থাকে, তেমনি ২৬ মার্চ থেকে যে সাধারণ ছুটি চলছে তার সঙ্গে মিল রেখে কর্মীদের ওভারটাইম ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।

৫. এর সঙ্গে তাদেরকে ঝুঁকিভাতাও দিতে হবে, কারণ গণমাধ্যম কর্মীরা এখন নিজের এবং পরিবারের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছেন।

৬. গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য নিয়মিত যে বীমা আছে তার পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে তাদের জন্য আলাদা আরেকটি বীমার ব্যবস্থা করতে হবে।

৭. দুঃখজনকভাবে কোনো গণমাধ্যম কর্মীর মৃত্যু হলে, সরকারি ঘোষণার সঙ্গে মিল রেখে তার জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণের নিশ্চয়তা রাখতে হবে।

৮. যেসব প্রতিষ্ঠানে বেতন বকেয়া আছে, সেগুলোতে যতো দ্রুত সম্ভব বকেয়া পরিশোধ করতে হবে।

গণমাধ্যম কর্মীদের সংগঠনগুলো কি এসব বিষয় নিশ্চিত করার জন্য উদ্যোগী হবে?

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়