লাইজুল ইসলাম: [২] রাজধানীর বেশ কয়েকটি হাসপাতালে চলছে করোনার নমুনা সংগ্রহের কাজ। এজন্য যাদের করোনা উপসর্গ আছে তারা এসব হাসপাতালে গিয়ে নিজেদের নমুন দিয়ে আসেন। কিন্তু বিপত্তির বিষয় হচ্ছে যাদের নূন্যতম উপসর্গ নেই তারাও দাঁড়িয়ে পরছেন এই লাইনে। যার কারণে অনেক সময় অসুস্থদের সিরিয়াল পেতে সময় লেগে যাচ্ছে অনেক।
[৩] আরো বেশ কিছু সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে এই লাইনগুলো থেকে। যাদের শরীরে করোন নেই তারা তো দাঁড়িয়ে আছেন যাদের করোনা উপসর্গ আছে তাদের পাশে। এই বিবেক বোধটুকুও মানুষ হারিয়েছে। নির্দিধায় একজন উপসর্গসহ লোকের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন সুস্থ একজন লোক। অযথা টেস্ট করতে আসা লোকটিও করোনয় আক্রান্তের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
[৪] শাহবাগে একমাত্র বিশেষায়িত ফিভার ক্লিনিকের সামনে দীর্ঘ লাইন। এখানে আছেন অনেকে সুস্থ অনেকে উপসর্গসহ অপেক্ষমান ব্যক্তি। এটি একটি সংক্রমনের ঝুঁকিপূর্ণ লাইন।
[৫] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রশাসণ অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, টেস্ট করতে যাওয়ার আগে স্বাস্থ্য বাতায়নে কথা বলা যেতে পারে। সেখানে কথা বলে যদি সন্তুষ্টি না হয় তবেই হাসপাতালে যাওয়া উচিত। কারো কোনো ধরনের উপসর্গ না থাকলে হাসপাতালে যেতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
[৬] সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম কুমাড় বড়ুয়া বলেন, এটা আমাদের একটি বড় ধরনের সমস্যা। মনের ভেতরে একটু সন্দেহ হলেই আমরা টেস্ট করতে বেড়িয়ে পরছি। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। এতে সংক্রমিত না হয়েও, সংক্রমিত হওয়ার সুযোগ থাকে। তাছাড়া, নমুনা দিতে এসে কেউ তো সামাজিক দূরত্ব মানছেন না।
[৭] জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, করোনার সচেতনতা মানুষের মনে নাই। তাদের মনে ভিতি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। সচেতনতা ঢুকানো যায়নি। তাই এই অবস্থা। ভয়ের কারণে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন কিন্তু সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। আর যিনি প্রকৃত রোগি তাকে টেস্ট করার সুযোগ থেকে তো বঞ্চিত করছেনই। তাও বুঝতে পারছেন না এই সুস্থ লোকগুলো।
আপনার মতামত লিখুন :