শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ০৯ মে, ২০২০, ০৮:৪৬ সকাল
আপডেট : ০৯ মে, ২০২০, ০৮:৪৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাস্ক দিয়ে শ্রেণি বিন্যাস

ডা. ইকবাল আনোয়ার : মাস্ক দিয়েও ক্লাস চেনা যায়, যেমন ঈদ জামাতে টুপি দেখে। ডাক্তার/স্বাস্থ্য কর্মী পাবে কোথা এন-৯৫। যদিও তাদেরই দরকার। মাঝে মধ্যে দেখি তাদের কেউ কেউ সৌভাগ্যবান, সংগ্রহ করেছে, তাদের সংগ্রহ করার ইতিহাসও একেকটি গল্প। যেমন একজনের আত্মীয় বিদেশে কয়লার মাইনে কাজ তদারকি করেন তার কাছে আছে, বেড়াতে এসেছিলেন, তিনি দিয়েছেন। ডাক্তারের কথা তো এটা। শ্রেণি বিন্যাস এখন শুরু : ১. যাদের দরকার নেই (এখন জানি না বিজ্ঞরা কী বলেন, কারণ এখন তো গণসংক্রমণ, যদিও মসজিদে যাচ্ছেন অনেকে মাস্ক না পরেই, তাদের হয়তো শক্ত ঈমান অথবা তারা বেখেয়ালি) তারা পেয়ে গেছেন। কীভাবে? জানি না তো? কতোভাবেই হতে পারে। ভাবের কী অন্ত আছে এ ভবে। পরে আছেন, এন-৯৫। তারা খান্দানীদের শিরোমণি। মাথার তাজ। সুপার ভাগ্যবান।
২. তারপর আছেন যারা সার্জিকেল মাস্ক পরেছেন। তারা সতর্ক ও সৌভাগ্যবান। ৩. এর পরের দলে যারা, তারা কোনো নকল বাল্ব লাগানো মাস্ক পরা। এটা প্রথমদিকে ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায়, তড়িঘড়ি ব্যবসা করার জন্য বানানো হয়েছিলো। পঞ্চাশ থেকে দুই আড়াইশ (যার থেকে যেভাবে নেওয়া যায়) দামে বিকিয়েছে। ৪. এ গ্রুপ কাপড়ের মাস্ক পরে আছেন। তাদের মধ্য উপরের ক্লাসের যারা তারা পরেছেন, নাকের অংশে ডিজাইন করে আলাদা জালি কাপড়ে ভি আকারে সেলাই করা। ৫. এ গ্রুপে আছে সাধারণ কাপড়ের মাস্ক পরা জনেরা। তারা সাধারণ অতি। ‘সাধ আছে সাধ্য নেই’ গ্রুপে আছেন। সাকুল্যে একটাই আছে ঘরে, পরেন তা পতি।
৬. এ গ্রুপে আছেন তারা, যারা নিজেরা ঘরে সেলাই করে পুরনো কাপড় দিয়ে মাস্ক বানিয়েছেন। তারা সংগ্রামী গ্রুপ। সালাম তাদের। অবশ্য সালাম সবার জন্যই আজ বাহে। ৭. তারা চির বঞ্চিত-লাঞ্ছিত, আল্লাহ ভরসা, মাস্ক নেই তাদের। ছিলো যদিও কারও, টুটে গেছে কবে। পেট বাঁচানো আগে। মাস্ক আবার কী। বাহে। হ্যাস মার্ক কেন? এটাতে মাজেজা হলো মেসেজ আছে। দেখেছি পাতা দিয়ে মাস্ক বানিয়ে পরে আছে দুইজন। মনে পড়ে, নারিকেল পাতার চশমা বানাবার দিনের কথ। সেটা তো খেলা ছিলো। এখন কি খেলার দিন। তবে কেন পাতার মাস্ক পরা। বলছে তারা, খেলা খেলা এটাও খেলা। এটা হলো মস্করা খেলা। নোট : নিচে মন্তব্যের ঘরে দেখুন ছবি, বন্ধুদের পাঠানো, আরও নানা রকম মাস্ক। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়