স্পোর্টস ডেস্ক : [২] করোনার ভীতি কাটিয়ে দুমাস পরে ফুটবল ফিরল দক্ষিণ কোরিয়ায়। শুক্রবার কে লিগে বৃষ্টির মধ্যে জিয়নবুক মোটর ও সুওন ব্লুউইংসের ফুটবলারেরা যখন মাঠে নামছিলেন, স্টেডিয়াম গমগম করছিল দর্শকদের উল্লাসধ্বনিতে। কিন্তু মাঠে কোনো দর্শক নেই। ফুটবল মাঠের আবহ তৈরি করতে আয়োজকেরা রেকর্ড করে রাখা দর্শকের উল্লাসধ্বনি বাজালেন স্টেডিয়ামের পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে। পুরো ম্যাচেই বারবার শোনা গেল পরিচিত সেই শব্দ।
[৩] স্টেডিয়ামের দর্শকশূন্য গ্যালারি ঢেকে রাখা ছিল ব্যানারে। যেখানে লেখা, ‘দ্রুতই আমাদের দেখা হবে। আরও শক্তিশালী হও।’
[caption id="attachment_1140183" align="alignnone" width="892"] এটাই ছিলো কোরিয়ার লিগের গ্যালারি।[/caption]
[৪] ম্যাচ শুরুর আগে খেলোয়াড়রা নিজেদের মধ্যে সৌজন্য বিনিময় করেন শুধু মাথা ঝুঁকিয়ে। রিজার্ভ বেঞ্চে বসা ফুটবলার, কোচ, রেফারি, মেডিক্যাল স্টাফসহ মাঠে হাজির সকলেই গ্লাভস ও মাস্ক পরেছিলেন।
[৫] মাঠে নামার আগে প্রত্যেকের থার্মাল চেক করা হয়। কর্তৃপক্ষ আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, কারও শরীরের তাপমাত্রা ৯৯.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি হয়, সঙ্গে সঙ্গে তাকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে। যদিও কারো শরীরে অতিনিক্ত তাপমাত্রা পাওয়া যায়নি।
[৬] দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবল লিগ খুব একটা জনপ্রিয় নয়। কিন্তু করোনার আবহে গোটা বিশ্বের নজর ছিল এই ম্যাচে। বিশ্বের ২০টি দেশে টেলিভিশনে ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। এ ছাড়া অনলাইনেও শুক্রবার কয়েক কোটি মানুষ সাক্ষী থাকলেন ঐতিহাসিক মুহূর্তের।
[৭] ৮৪ মিনিটে লি ডং গোল করেই গ্যালারির সামনে চলে গিয়েছিলেন। তার পরে হাত না মিলিয়ে একে অপরের কনুইয়ে কনুই ঠেকিয়ে অভিনব ভঙ্গিতে উল্লাসে মেতে ওঠেন তারা। ১-০ জিতে মাঠ ছাড়ার সময়ও জিয়নবুক মোটরের ফুটবলাররা হাত মেলাননি।
/এ.জেড
আপনার মতামত লিখুন :