মো. আখতারুজ্জামান : [২] করোনাভাইরাসের কারণে সব পর্যায়ের ব্যবসায় সংকট তৈরি হয়েছে। এমন এনজিও বা ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী জুন পর্যন্ত ঋণের কিস্তি আদায় না করার নির্দেশ দিয়েছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি।
[৩] কিস্তি আদায় বন্ধ থাকায় অনেক ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করছে না। ফলে কর্মকর্তা কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এই অবস্থায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা নিয়মিত পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে অথরিটি।
[৪] জানা যায়, গত ৫ মে ক্ষুদ্র ঋণপ্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি একটি চিঠি তালিকাভুক্ত সব এনজিও নির্বাহীদের কাছে পাঠায়।
[৫] চিঠিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ন্যায় আপনাদের ক্ষুদ্র ঋণপ্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় বর্তমানে বিঘ্ন ঘটছে মর্মে প্রতীয়মান হচ্ছে। এহেন অবস্থায়ও উক্ত রোগ প্রতিরোধসহ বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকারের পাশাপাশি আপনারাও নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন, যা প্রশংসনীয় এবং আপনাদের প্রতিষ্ঠানসমূহের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণের সহায়ক।
[৬] চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিজ নিজ স্কেল অনুযায়ী বেতন ভাতাদি প্রদান অব্যাহত রাখাও অত্যন্ত জরুরি। তাই প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান বিধিবিধান অনুসরণপূর্বক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি নিয়মিতভাবে প্রদান করার জন্য আপনাদেরকে অনুরোধ করা হলো।
[৭] এর আগে গত ২৫ মার্চ আরও একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে অথরিটি। সেখানে বলা হয়, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত প্রাপ্য কোনো কিস্তি বা ঋণকে বকেয়া বা খেলাপি দেখানো যাবে না। অর্থাৎ এই সঙ্কটময় সময়ে ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণগ্রহীতাদের কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা যাবে না।
আপনার মতামত লিখুন :