মাহমুদুল আলম : [২] রাজধানী ঢাকার পর সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগী নারায়ণগঞ্জে। সেখানে নানা সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হলেও করোনা রোগীরা যেন এখনও অস্পৃশ্য।
করোনা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। সুস্থ হয়ে ফিরতে চাচ্ছেন স্বাভাবিক জীবনে। কিন্তু তাদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করছেন প্রতিবেশিরা। করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়ে আসা পুলিশ, গণমাধ্যমকর্মী আর একটি পরিবারের সাথে কথা বলে ডিবিসির করা প্রতিবেদনে জানা গেছে ভুক্তভোগীদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা।
[৩] করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে সংক্রমিত হয়েছিলেন ফতুল্লার কুতুবপুরে এক স্বাস্থ্যকর্মী ও তার পরিবারের সদস্যরা। সেই পরিবারকে রক্ষা করতে ছুটে যেতে হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেনা সদস্যদের। শুধু সংক্রমিতরাই নন, যারা এই করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন, তাদের পরিবারকে সম্মুখীন হতে হচ্ছে নানা প্রতিবন্ধকতার।
[৪] করোনা থেকে সুস্থ হওয়া গণমাধ্যমকর্মী আরিফ আল দীপু জানান, আত্মবিশ্বাস আর দৃঢ় মনোবল থাকলেই করোনা জয় সম্ভব।
[৫] সংক্রমিত হয়েছিলেন শহরের জামতলা এলাকার বাসিন্দা মেহেদী হাসান। হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সময় তার স্ত্রী ও সন্তানরা ছিলেন লকডাউনে। মেহেদী হাসান বলেন, পাড়া প্রতিবেশীরা অনেকে বিভিন্ন মন্তব্য করেছে, কটাক্ষ করেছে।
[৬] মেহেদীর স্ত্রী নাজমুয়ার সুলতানা সিমু বলেন, পাশের লোকজন যদি সহানুভুতি দেখায় সেটাই অনেক কিছুু, তাও পাই না। আমি যদি বারান্দায় দাঁড়াই তারা দৌঁড়ে চলে যায়।
[৭] কয়েকদিন আগে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে করোনা সংক্রমিত যুবককে বাড়ি থেকে বের করে দেন বাড়িওয়ালা। এছাড়া, গত মাসের শুরুর দিকে করোনা সংক্রমিত গিটারিস্ট হিরুর মরদেহ রাস্তায় পড়ে ছিলো প্রায় ১৪ ঘন্টা।
আপনার মতামত লিখুন :