সালেহ্ বিপ্লব : [২] যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) যে পরামর্শ, সে অনুযায়ী করোনা চিকিৎসায় প্রয়োগ করা হবে দুই ধরনের ডোজ। সাধারণ রোগীদের জন্য ৫ দিনে ৬ ডোজ, আর গুরুতর অবস্থায় উপনীত রোগীদের জন্য ১০ দিনে ১১ ডোজ। বিবিসি বাংলা, প্রথম আলো, এনপিআর
[৩] এই হিসেবে কারো খরচ হবে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার, আর কারো ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা।
[৪] বাংলাদেশে ৮টি ফার্মাসিউটিক্যলস কোম্পানীকে রেমডেসিভির উৎপাদনের অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
[৫] অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান জানান, কোম্পানিগুলো হলো বেক্সিমকো, এসকায়েফ, ইনসেপ্টা, স্কয়ার, বিকন, হেলথকেয়ার, অ্যাকমি ও পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস।
[৬] তিনি জানান, এর মধ্যে বেক্সিমকো আর এসকেফের কাজ অনেকদূর এগিয়েছে। এই মাসের মধ্যেই হয়তো তারা তাদের পণ্য বাজারে ছাড়বে।
[৭] এসকেফের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিমিন হোসেন শুক্রবার জানিয়েছেন, আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন ঔষধ প্রশাসনের কাজ। তারা অনুমোদন করলে আগামী সপ্তাহ থেকে আমরা এটা বাজারে দিতে পারব বলে আশা করি।
[৮] এসকেফ যে ইনজেকশনটি বানিয়েছে, সেটির নাম দেয়া হয়েছে রেমিভির।
[৯] এর দাম সম্পর্কে সিমিন হোসেন জানান, পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকার মতো দাম হতে পারে।
[১০] এর আগে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা জানিয়েছিলেন, তাদের প্রতিষ্ঠানের তৈরি করা রেমডেসিভিরের প্রতিটি ভায়ালের দাম ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা হবে।
[১১] কিন্তু রেমডেসেভিরের মূল উৎপাদনকারী মার্কিন প্রতিষ্ঠান গিলিয়াড সায়েন্সেস এখন পর্যন্ত তাদের ইনজেকশনের দাম নির্ধারণ করেনি। প্রতিষ্ঠানটি প্রথম ১৫ লাখ ডোজ বিনামূল্যেই সরবরাহ করবে। ওষুধের দাম কতো হবে, তা ঠিক করবে আরো কদিন পর।
[১২] গিলিয়াডের মুখপাত্র সোনিয়া চোই জানিয়েছেন, আমাদের লক্ষ্য এমন একটি দাম নির্ধারণ করা, যাতে ওষুধটি সবাই কিনতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :