কামাল হোসেন : [২] পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চালুর ঘোষণায় কাজে যোগ দিতে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-পথে শ্রমজীবী মানুষের ঢল নেমেছে ।
[৩] গণ-পরিবহন বন্ধ থাকালেও জীবিকার তাগিদে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষ ব্যাটারি চালিত অটোবাইক, মোটরসাইকেল ও মাহেন্দ্রযোগে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে নদী পার হয়ে ঢাকাসহ আশ-পাশের বিভিন্ন জেলায় কর্মস্থলে যাচ্ছে। পাশা-পাশি ঢাকা থেকেও আসছে অসংখ্য যাত্রী। করোনা দুর্যোগ কালে যাওয়া- আসার এই প্রতিযোগিতায় সামাজিক দূরত্ব মানা তো দুরের কথা বরং গাদাগাদি-পারাপারি করে ফেরিতে উঠাই যেন সফলতা।
[৪] শ্রমজীবী যাত্রীরা জানায়, আজ প্রায় ২ মাস হলো কাজ-কাম বন্ধ সামনে ঈদ কাজে না গেলে বেতন-বোনাস কিছুই পামুনা। তাই বাধ্য হয়েই করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে কাজে যাচ্ছি। মহাসড়কে গণপরিবহন না থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অটোরিক্সা বা মোটর সাইকেলে করে ঘাট পর্যন্ত এসে ফেরিতে উঠেছি।
[৫] ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে শুধুমাত্র এ্যাম্বুলেন্স ও জরুরী পন্যবাহি যানবাহন পারাপারের জন্য দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-পথে সীমিত আকারে ২টি রোরো(বড়) ও ৪টি ইউটিলিটি(ছোট)সহ মোট ৬টি ফেরি সচল রাখা হয়েছে। কর্মমূখী ও ঘরে ফেরা মানুষের অতিরিক্ত চাপের কারণে তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না ।
[৬] এতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি আরোও বেড়েই যাচ্ছে। গত ২৬ এপ্রিল ২জন ও ৩০ এপ্রিল ৩জন ও ০৬ মে ১জন বিআইডব্লিউটিসিতে কর্মরত কর্মীর শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় সংস্থাটিতে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এরপরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২৪ ঘন্টা ফেরি চলাচল সচল রেখেছে বিআইডব্লিউটিসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ।
[৭] বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারি ব্যবস্থাপক মো. মাহবুব আলী জানান, ফেরি চলাচলের কারণে যাত্রী পারাপার হয়। কারণ যাত্রী পারাপার নিয়ন্ত্রণ করে ঘাট ইজারাদার। এদিকে জরুরী যানবাহন পারাপারের জন্য ছোট-বড় ৬টি ফেরি চলাচল করছে। যানবাহনের সংখ্যা বাড়লে, ফেরির সংখ্যাও বাড়ানো হয়। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :