লিহান লিমা: [২] ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বেকারত্বের হার বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১৪.৭ শতাংশ। ১৯৩০ সালের ভয়াবহ মহামন্দার পর আর এমন চিত্র দেখা যায় নি। দেশটিকে করোনা শনাক্ত হওয়ার পূর্বে ফেব্রæয়ারিতে দেশটিতে বেকারত্বের হার ছিলো ৩.৫ শতাংশ। সিএনএন, বিবিসি, আল জাজিরা
[৩] দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ছয় সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে ৩ কোটি ২ লাখ মানুষ বেকারভাতার জন্য আবেদন করেছেন।
[৪] মহামারীর পর যুক্তরাষ্ট্র গত এক দশকের সবচেয়ে খারাপ প্রবৃদ্ধি দেখেছে, দেশটির খুচরা বিক্রয় রেকর্ড পরিমাণে কমে গিয়েছে। উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে বিনিয়োগ, বাণিজ্য, উৎপাদন ও ভোক্তাব্যয়। ভ্রমণ বন্ধ থাকায় দেশটিতে উবার, লিফট ও এয়ারবিএনবির মতো ফার্মগুলো কর্মী ছাঁটাই ও বেতন কাটার ঘোষণা দিয়েছে। পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
[৫] সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিনোদন ও পর্যটন খাত। এই খাতে চাকরি হারিয়েছেন ৭৭ লাখ। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে চাকরি হারিয়েছেন ২৫ লাখ। ডেন্টিস অফিস থেকে ছাঁটাই হয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার। খুচরা ব্যবসা থেকে চাকরি হারিয়েছেন ২১ লাখ। উৎপাদন খাত থেকে চাকরি হারিয়েছেন ১৩ লাখ।
[৬] যুক্তরাষ্ট্রে আফ্রো-আমেরিকানদের বেকারত্বের পরিমাণ গত মাসে ৬.৭ শতাংশ থেকে এই মাসে ১৬.৭ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানদের বেকারত্বের হার ৪ শতাংশ থেকে ১৪.২ শতাংশে পৌঁছেছে।
[৭] এর আগে ১৯৮২ সালের নভেম্বরে বেকারত্বের হার সর্বাধিক ১০ দশমিক ৮ শতাংশ ছিল। ১৯৩৩ সালের মহামন্দার সময় বেকারত্বের হার ছিলো ২৫ শতাংশ।
আপনার মতামত লিখুন :