লাইজুল ইসলাম: [২] পাড়া মহল্লার দোকান খোলা থাকবে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত। শপিং মল, ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের পর ঘরে থাকা নগরবাসী সড়কে বের হতে শুরু করেছে। তাদের এই বাইরে বের হয়ে আসাকে অশনিসংকেত বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
[৩] মনে করোনা আতঙ্ক থাকলেও বাইরে আসেছেন রাজধানীবাসী। বেলা যত গড়ায় ততোই বাড়ে মানুষ আর যানবাহনের সংখ্যা। এতে কাঁচাবাজার আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে ভিড় চোখে পড়ে সবচেয়ে বেশি।
[৪] বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা শরিফ আহমেদ জানান, কারওয়ান বাজারে এসেছি বাজাড় করতে। অনেক দিন বাসা থেকে বের হই না। সরাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সব ধীরে ধীরে খুলে দেওয়ার। তাই এসেছি। তবে মনের ভেতরে ভয় আছে। তাই মাস্ক পরে এসেছি। সঙ্গে হ্যান্ড স্যানেটাইজারও আছে।
[৫] রিশকা চালক কুদ্দুস জানায়, মগবাজারের ভেতর থেকে প্রতিদিন তিনি রিকশা নিয়ে বের হন। তবে গত দুই দিন ধরে সড়কে যাত্রী বেশি। কামাই রোজগারও বেশি। তবে তারও মনে ভেতরে ভয় আছে।
[৬] মগবাজার মোড়ে কথা হয় সিএনজি অটোরিকশা চালক শহীদের সঙ্গে। তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে দাড়িয়ে আছে। শুক্রবার বলে যাত্রী কম। কিন্তু লোকের অভাব নেই সড়কে। রিকশার যাত্রীও বেশি। তবে গত কয়েকদিন ভালো যাত্রী ছিলো।
[৭] সড়কের ওপর কথা হয় এক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, আমরা নিজের ভালো যতদিন নিজে না বুঝবো ততদিন কিছুই ঠিক হবে না। আইন দিয়ে মানুষকে ঘরে রাখা সম্ভভ না।
[৮] অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক বলেন, আইন অমান্য করার মানসিক অবস্থা একদিনে তৈরি হয়নি। ধীরে ধীরে তৈরি হয়েছে। তবে এমন ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে ঘরের ভেতরে অবশ্যই থাকা প্রয়োজন নগরবাসীর।
আপনার মতামত লিখুন :