এম. আমান উল্লাহ :[২] করোনা পরিস্থিতিতে বাজারজাত করতে না পারায় নষ্ট হওয়ার পথে প্রায় ২০০ কোটি উৎপাদিত চিংড়ি পোণা। এ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কক্সবাজারের হ্যাচারিগুলো। তবে চাষীরাও পোণা কিনছেন না বলে দাবি হ্যাচারি মালিকদের। এ দিকে সরকার হ্যাচারি শিল্পকে সব ধরনের সহযোগিতা করছে উল্লেখ করে ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে জানালেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম খালেকুজ্জামান।
[৩] কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের হ্যাচারি জোন। এখানে দেশের চিংড়ি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় ৫৫টির বেশি চিংড়ি পোনার হ্যাচারি। তবে চলতি মৌসুমে উৎপাদনে রয়েছে ৩০টি হ্যাচারি।
[৪] তাদের মতে, গত জানুয়ারি মাসে এসব হ্যাচারি প্রথম সার্কেলে উৎপাদিত প্রায় ২০০ কোটি চিংড়ি পোনা সরবরাহ করেছিল সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চলে। কিন্তু বর্তমানে করোনার কারণে এসব অঞ্চলের চাষিরা পোনা কিনছেন না বলে জানান হ্যাচারি মালিকরা। তাই হ্যাচারিগুলোতে দ্বিতীয় সার্কেলে উৎপাদিত প্রায় ২০০ কোটি চিংড়ি পোনা নষ্ট হওয়ার পথে। সাথে অনিশ্চিয়তায় রয়েছেন ৩ হাজার শ্রমিক।
[৫] করোনার কারণে দেশের চাহিদা অনুযায়ী চিংড়ি পোনা উৎপাদন বাধাগ্রস্ত এবং হ্যাচারিগুলো আর্থিক সংকটে পড়ছে বলে জানান শ্রিম্প হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম।
[৬] তবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম খালেকুজ্জামান জানান, সরকার হ্যাচারিগুলোকে সব ধরনের সহযোগিতা করছে। তাই এ শিল্পের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই।
চলতি মৌসুমে কক্সবাজারের হ্যাচারিগুলোতে চিংড়ি পোনা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার কোটি। কিন্তু করোনার কারণে উৎপাদিত হয়েছে মাত্র ৪০০ কোটি পোনা। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :