শিরোনাম
◈ অবশেষে মার্কিন সিনেটে সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ পাস ◈ কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল চলাচল বন্ধ ◈ ইউক্রেনকে এবার ব্রিটেননের ৬১৭ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ◈ থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ জিবুতি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে ৩৩ জনের মৃত্যু ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ এফডিসিতে মারামারির ঘটনায় ডিপজল-মিশার দুঃখ প্রকাশ ◈ প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ◈ প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাত চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন নির্বাচিত ◈ বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত : ০৮ মে, ২০২০, ০৮:৩৩ সকাল
আপডেট : ০৮ মে, ২০২০, ০৮:৩৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১]ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এখন গণমাধ্যমের জন্য দুঃস্বপ্নের বাস্তবতা : সম্পাদক পরিষদ

আক্তারুজ্জামান : [২] শুরু থেকেই এই আইনের বিরোধীতা করে আসছিলো গণমাধ্যম কর্মীরা। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দমনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হবে এমন আশঙ্কায় সম্পাদক পরিষদও আইনটির বিরোধিতা করেছিল। যে শঙ্কা ছিলো প্রতিষ্ঠানটির, সেটাই ঘটেছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে সম্পাদক পরিষদ।

[৩] সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম এবং মহাসচিব বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে সম্প্রতি সাংবাদিক, কার্টুনিস্ট, লেখকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) মামলা, গ্রেপ্তার এবং কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেই সঙ্গে সকল সাংবাদিকের মুক্তি এবং সমস্ত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

[৪] বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে অযৌক্তিকভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক, কার্টুনিস্ট ও লেখককে অভিযুক্ত ও গ্রেপ্তার করার ঘটনাপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করছি। গ্রেপ্তারের আগে অভিযোগের যৌক্তিকতার বিষয়ে কোনো কথা বলা হচ্ছে না।'

[৫] 'ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়া', 'গুজব ছড়ানো', অথবা 'সরকারের সমালোচনা' করার মতো কারণকে এখন সাংবাদিকদের জেলে ভরার জন্য যথেষ্ট বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া যেকোনো মামলা হওয়া মানেই বেশিরভাগক্ষেত্রে এখন গ্রেপ্তার হওয়া।

[৬] সম্প্রতি ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। সাংসদ, জেলা প্রশাসন, ক্ষমতাসীন লোকজনের নামে সামান্য সমালোচনার কারণে সম্প্রতি মামলাগুলো দায়ের করা হয়।

[৭] বিবৃতিতে আরো বলা হয়, 'ঐতিহ্যগতভাবে সাংসদরা সবসময় মুক্ত গণমাধ্যম, মুক্ত চিন্তা ও সমালোচনার পাশে বরাবর দাঁড়িয়েছেন। দুঃখজনক হলেও সত্য, তাঁদেরই কয়েকজন এখন সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগের পক্ষে। বিদ্যমান মানহানির মামলার পরিবর্তে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় পরিষ্কার আগ্রহ প্রমাণ করে, সুবিচার পাওয়াটা তাঁদের মূল উদ্দেশ্য নয়, বরং সাংবাদিকদেও ভয় দেখানো ও হয়রানি করার ইচ্ছেটাই এখন মূল।'

[৮] 'সংবাদমাধ্যমের সহজাত দায়িত্ব হলো দুর্নীতি, অনিয়ম প্রকাশ করা এবং প্রশাসনের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেওয়া। আর যখন কিনা মহামারি ও মহামারি পরবর্তী বিপর্যয় মোকাবিলায় সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে, তখন এই দায়িত্ব পালন আরও জরুরি হয়ে দাঁড়ায়।' এটাও তারা উল্লেখ করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়