শিরোনাম
◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল ফসফসরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মুজিবনগর দিবস বাঙালির শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৮ মে, ২০২০, ০৮:১৭ সকাল
আপডেট : ০৮ মে, ২০২০, ০৮:১৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশের বাম রাজনীতির ঋণাত্মক চর্চা

মুনশি জাকির হোসেন : এই রাজনীতির একদা স্বর্ণযুগ ছিলো। তখন ক্রিয়াশীলতা ছিলো। ধীরে ধীরে সেটি প্রতিক্রিয়াশীলতা নির্ভর হয়ে বর্তমানে পৌঁছেছে। তারা সব কিছুতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়, যেখানে ক্রিয়া ততোটা সক্রিয় নয়। যেমন ধরুন, তাদের বাম গালে কষে যদি কেউ থাপ্পড় দেয় তাহলে সে বলে উঠবে, এই দেখুন কীভাবে সমাজে বৈষম্য তৈয়ার করে। বাম গালে থাপ্পড় দিলো। ডান গাল কী অপরাধ করলো। এই বৈষম্য মেনে নেওয়া যায় না। তাদের বলে কা-জ্ঞানহীন বাম। এমনই এক কা- করে বসেছে বাংলার এক বাম। সরকার কৃষি শ্রমিক সংকট নিরসনে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদের কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার দিচ্ছে। এটি কৃষি যান্ত্রিকীকরণের একেবারেই শুরুর ধাপ। এখানে ১০০ জন শ্রমিকের কাজ ১ ঘণ্টায় একটি মেশিন করতে পারে। এর ফলে শ্রমিক সংকট যেমন কমে যাবে তেমনি কৃষিজ উৎপাদন খরচও কমবে।
আজ অথবা কাল দেশের সর্বত্র কৃষিকে এই পথেই নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু সমস্যা অন্যত্র। এক বাম দাবি করছে, ধান কেটে মাড়াই করে দিলেন যন্ত্র দিয়ে সেটি ঠিক আছে। তবে যে শ্রমিক কৃষি কাজ করতো, ধান কাটতো সেই কৃষি শ্রমিক কাজ হারালো। তার কী হবে? এই প্রসঙ্গ জনৈক বাম সামনে এনেছে। কীভাবে এটির উত্তর দিতে হবে, কোথা থেকে শুরু হবে সেটিই বুঝতে হিমশিম খাচ্ছি। শিল্প বিপ্লবের পরই এই প্রশ্ন প্রতিদিন আসছে, এটি গত ২০০ বছর ধরেই চলছে, আগে কলকারখানার উৎপাদনে শ্রমিক এবং যন্ত্র নিয়ে কথ হতো। গত দশকে সেটি মানব শ্রম এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে শুরু হয়েছে। যেমন, উন্নত দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে অটোমেশনে চলে গেছে, এখানে টাকা জমা দিতে, টাকা উঠাতে, লোন প্রসেসিং সর্বত্র আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কাজ করে, ব্যাংকের মানব জব ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে। এমনকি ট্রেনও চলছে ড্রাইভার ছাড়া, বিমান অটো পাইলট/রোবট দিয়ে চালানোর কথা বলা হচ্ছে। শপিংমলগুলোতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হিউম্যান জবকে রিপ্লেস করছে।
কিন্তু জব মার্কেট কি সংকুচিত হচ্ছে? নাকি আরও নতুন নতুন জব তৈরি হচ্ছে? ওই যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স তৈরি করা, প্রতি মুহূর্তে তদারকি করা, এখানেও তো হিউম্যান ইন্টারভেনশন আবশ্যক। এটি নিয়ে বামেরা কথা বলে না। কৃষকের কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার দিলে সেখানে ইঞ্জিনিয়ার, মেকানিক, মেশিনারিজ সেক্টরে যে নতুন জব তৈরি হবে সেটি নিয়ে বামেরা কথা বলে না। এ রকম বহুবিধ কারণে বাংলার বামেরা কাঠমোল্লা, কাঠ বলদদের কাতারে নেমে যাচ্ছে। জনপ্রিয়তা ঋণাত্মক হচ্ছে। তারা এভাবেই হারিয়ে যাবে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়