দীপু তৌহিদুল : যখন কারফিউ আর শক্ত লকডাউনটা চেয়েছিলাম তখন সেটা ঘটেনি। ফেব্রুয়ারি মাসের উচিত কাজটা এখন নতুন করে করার চেষ্টা না করাই ভালো ফল প্রাপ্তির বিন্দুমাত্র সুযোগ আর নেই বলে। আজকে নিউজে দেখলাম করোনাভাইরাস বাংলাদেশের ৬৪ জেলাকে ছুঁয়ে ফেলেছে। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে মিডিয়ার ভাষায় লকডাউনটাকে ( সাধারণ ছুটি) মোটেও আর চাচ্ছি না, কারণ ছুটি কোনো কাজে আসবে না। আমার-আপনার ব্যক্তিগত আবেগটা দিয়ে সব কিছুকে চালানোর চেষ্টা করা বোকামি বলেই যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত সরকারকে নিতে হবে। অনেক ভেবে ও নিজের সাধ্যমতো বিশ্লেষণ করে দেখেছি বাংলাদেশের এখন উচিত হবে সব কিছুকে আর বন্ধ না রেখে খুলে দেওয়া। সুইডেনের মতো হার্ড ইমিউনিটি বিল্ড করা ছাড়া ভিন্ন কোনো পথই নজরে আসছে না। আপনার নজরে ভিন্ন কোনো পথ থাকলে সেটা দ্বিধা না রেখে প্রকাশ করুন। যেহেতু ৬৪ জেলা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, সেহেতু এখন আর ঘরে পালিয়ে থেকে তেমন কোনো সুবিধা আদায় হবে না, বরঞ্চ করোনা ছুটি বড় হতে থাকলে বাংলাদেশের আর্থিক ক্ষতি বিশালভাবে বেড়ে যাবে, যা পূরণ করা আসলেই কঠিন হবে। মানুষ আর রাষ্ট্র দুটো ক্রিটিকাল ইস্যুতে পড়েছে এই রাষ্ট্র, তাই পৃথিবীর বাকি দেশগুলোর করোনায় নেওয়া উদ্যোগগুলো ঘেঁটে পথ বের করে নিতে হবে।
করোনা নিয়ে আমার এই স্ট্যান্ড চেঞ্জকে সরকারের চামচামি হিসেবে নিলে ভুল করবেন। সরকারকে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ টোটাল ওপেন করার মরাল সাপোর্ট দিতে চাই কোনো দ্বিধা না রেখে। অতীতে যে ভুল হয়েছে তা নিয়ে মাথা ঘামানোর চাইতে সামনের দিকে তাকাতে চাই। বাংলাদেশের সামনে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি করার পথ বেছে নেওয়াকে উত্তম মনে করছি। আজকে এটা পড়ে হয়তো খুব রাগ হবেন, এমনকি ছুপা লীগার বলে ট্যাগও করবেন, কিন্তু আশা করি দিন সাতেক কিংবা বড় জোর দিন দশেক পরে অনুভব করবেন কী বলেছি। আমার কারফিউ/লকডাউন সময়ে খাননি, সামনে সাধারণ ছুটি তুলে রাষ্ট্র ওপেন করার পরামর্শটাও সহজে খাবেন বলে বিশ্বাস করি না। যাই হোক আমি এখন ‘হার্ড ইমিউনিটি তৈরির পক্ষে’। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :