শিরোনাম
◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ নির্বাচনের মাঝেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৮ মে, ২০২০, ০৬:৫২ সকাল
আপডেট : ০৮ মে, ২০২০, ০৬:৫২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১]অনন্ত জলিলের প্রশ্ন : এরা গার্মেন্টস, শিল্প, অর্থনীতির কী বোঝে (ভিডিও)

ডেস্ক রিপোর্ট : [২] মাত্র দুশো কর্মী নিয়ে শুরু করা তাদের পারিবারিক পোশাক শিল্প ব্যবসায় এখন ১১ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় নায়ক অনন্ত জলিল। বলেন, ‘আমার কোম্পানি চালাতে প্রতি মাসে ১৭ কোটি টাকা প্রয়োজন হয়। ২০২১ সালে গিয়ে ১৪ থেকে ১৫ হাজার লোক আমার প্রতিষ্ঠানে কাজ করবে। এগুলো তো সহজ ব্যাপার নয়। প্রতিদিনই অসম্ভবকে সম্ভব করে এই জায়গায় আসা।’

[৩] বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যেখানে নায়ক নয়, ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল তুলে ধরেছেন তার ব্যবসার আদ্যপান্ত। করোনা ভাইরাসের মহামারিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোশাক শিল্পের নানা বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে। সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে গামেন্টস শিল্পের একজন কর্নধার হিসেবে তিনি নিজের অবস্থান তুলে ধরেন।

[৪]অনন্ত জলিল বলেন, ‘আমি এবারও যখন স্যালারি দিয়েছি ১২ কোটি টাকা ব্যাংকের লোন, আমাদের বাসা ভাড়া, কাকরাইলে ফ্লোর আছে ওটার ভাড়া-সব কিছু মিলিয়ে নিয়ে ১২ কোটি টাকা স্যালারি দিতে হয়েছে। টাকা ইনকাম ছোটখাটো ব্যাপার না। এটা তো গার্মেন্টস এক টাকা, দুই টাকা হলে চলবে না। আমার কোম্পানি চালাতে মাসে ১৭ কোটি টাকা লাগে।’

[৫]এই ব্যয়ের হিসাব তুলে ধরে ঢালিউডের এই শক্তিমান অভিনেতা বলেন, ‘১২ কোটি টাকা স্যালারিই লাগে। গ্যাস বিল আসে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। বিদ্যুৎ বিল সব ইউনিট মিলিয়ে এক কোটি টাকার মতো আসে। কোম্পানি মেইনটেন্সে করতে মাসে দেড় কোটি টাকা লাগে। কোম্পানি চালানো তো এতো সহজ বিষয় না।’

[৬]প্রতিষ্ঠিত এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘যারা কোম্পানি নিয়ে কথা বলে তাদের অবদানটা কি দেশের জন্য? তারা কজন লোককে চাকরি দিয়েছে? কজন লোককে উপকার করেছে? কথা বলার জন্য মোবাইল একটা দিয়ে ইউটিউবে ছেড়ে দিলেই হয়। কজন লোককে কে বেতন দিয়েছে। এসব বললে মানুষ খারাপ বলবে। যে তারা এসব খারাপ বলে। সত্যি কথা বলতে হয়, না হলে হবে কী একসময় এই বুক ফেটে মারা যাবো। দেখেন না, আমি আমার স্ত্রীকে বলেছিলাম, হৃদয় ছিড়ে তো সবাই বলে। আমি আমার হার্ট বের করে দেখিয়েছিলাম, ছবির মধ্যে। এই রকম হচ্ছে অবস্থা। কিছু কথা আছে না বললে মনে হয় যে বুক ফেটে মারা যাবো।’

 

[৭]অনন্ত জলিল বলেন, ‘এই যে যখন ইউটিউব দেখি বা ফেসবুকে লেখাগুলো দেখি তখন আমার এই টুকুই মনে হয়, এরা কী বোঝে গার্মেন্টস ইন্ড্রাস্টি সম্পর্কে? তারা শিল্প সম্বন্ধে কী বোঝে? তারা অর্থনীতি সমন্ধে কী বোঝে? বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তাদের অবদানটা কী? তারা কেনো এগুলো নিয়ে কথা বলে?’
সাক্ষাৎকার গ্রহীতা জানতে চান, আপনার সম্পর্কে একটা মিথ প্রচলিত আছে, অসম্ভবকে সম্ভব করা আপনার কাজ। আগামীতে কী অসম্ভবকে আপনি সম্ভব করতে চান?

[৮]জবাবে অনন্ত জলিল বলেন, ‘আসলে প্রতিদিনই অসম্ভবকে সম্ভব করি। যেমন যে কথাগুলো বললাম, এখানে প্রত্যেকটিই চ্যালেঞ্জের কথা। প্রতিটিই চ্যালেঞ্জের কথা। এই যে ২২ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রি চালানো, দুশো লোক দিয়ে আমার পরিবার ইন্ডাস্ট্রি শুরু করে আজকে আমার ১১ হাজার লোক। ২০২১ সালে গিয়ে ১৪ থেকে ১৫ হাজার লোক কাজ করবে, এগুলো তো সহজ ব্যাপার নয়। প্রতিদিনই অসম্ভবকে সম্ভব করে এই জায়গায় আসা। এই কারণে আমরা কষ্টটা বুঝি।’
সূত্র- ঢাকা টাইমস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়