কল্যাণ বড়ুয়া, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : [২] করোনার প্রভাব পড়েছে দেশের সর্বত্র । তার পরে মানুষের জীবন জীবিকা থেমে নেই । তেমনি থেকে নেই বাঁশখালীর বেঁলগাও চা বাগানে কর্মরত ৭শতাধিক শ্রমিকের কর্মজীবন।
[৩] এ সময় বাঁশখালীর বিশাল এ চা বাগান জুড়ে ছিল পর্যটক ও দর্শনাথীদের আনাগোনায় মুখর কিন্ত করোনা পরিস্থিতির কারনে এসব বন্ধ এখন । তবে চা বাগানের অভ্যন্তরে থাকা শ্রমিকেরা করোনার নিয়ম নীতি মেনে নিয়মি হাত ধোঁয়া, বাসা বাড়িতে ব্লিসিডিং পাউড়ার চিটানো, নিয়মিত শারিরীক পরীক্ষা করা সব মেনে তাদের কর্মজীবন চলমান রয়েছে ।
[৪] তার মধ্যে কয়দিন আগে চা বাগান শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উদ্যেগে ৩৭৮ জন শ্রমিককে ৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয় বলে জানান বৈলগাঁও চা বাগানের ম্যানেজার মো: আবুল বাশার । তিনি কর্মরত সকল শ্রমিকদের এর আওতায় আনার জন্য সরকার ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান ।
[৫] একদিনে করোনার প্রভাব তার মধ্যে আগামী ১৩ মে দেশের প্রথম চা নিলাম চট্টগ্রামে অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে বলে জানান তিনি । সবুজের সমারোহে ছেয়ে গেছে বাঁশখালীর বৈলগাঁও চা বাগান। চা বাগানে কচি পাতা আর ক্লোন চা উৎপাদন করায় এই বাগানটি বর্তমানে দেশের অন্যতম শীর্ষ স্থানে রয়েছে।
[৬] বাঁশখালীতে অবস্থিত ৩ হাজার ৪ শত ৭২.৫৩ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই চা-বাগানটির দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে । প্রতিদিন ৭ শতাধিক শ্রমিক এই চা বাগানে তাদের শ্রমের মাধ্যমে নতুন পাতা উৎপাদন ট্রেসিং থেকে শুরু করে চা-বাগানের সামগ্রিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
[৭] চা বাগানের অভ্যন্তরে ৭ শতাধিক কর্মচারী নাগরিক সুযোগ-সুবিধা, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা সহ অন্যান্য সার্বিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে বলে জানান পুকুরিয়া বেঁলগাও চা-বাগানের ম্যানেজার মো:আবুল বাশার।
[৮] বৃষ্টি কম হওয়ায় পাতা উৎপাদনে সমস্যা সৃষ্টি হলেও চা-বাগান কর্তৃপক্ষ নিজস্ব উদ্যোগে প্রতিদিন বাগানের সর্বত্র আধুনিক উপায়ে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করায় প্রতিদিনই নতুন নতুন কচি পাতা গজে উঠছে। বাঁশখালীর বৈলগাঁও চা বাগানের চা পাতা সারা দেশে সুখ্যাতি রয়েছে এই মানের জন্য চা বাগানের কর্মরতরা প্রতিদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
[৯] তিনি বলেন, আমাদের উৎপাদন যত বৃদ্ধি পায় সরকার রাজস্ব তত বেশি পায়। বর্তমানে চা পাতার বিক্রিত অর্থ থেকে সরকার ১৫% হারে ভ্যাট পান। তবে তিনি বাগানের কিছু সমস্যার কথা উল্লেখ করে বলেন, চা বাগানের চার পাশে ঘেরা বেড়া না থাকায় প্রতিদিন হাতির পাল চা বাগানে ছুটে আসে। ফলে শ্রমিক-কর্মচারীরা প্রায় সময় শংকিত অবস্থায় থাকে। তিনি সরকারী এই রাজস্ব আয়ের অন্যতম চা-বাগানের যাতায়াতের সড়কটি সংস্কার করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :