শাহনাজ বেগম : [২] করোনা মহামারীর কবলে পড়ে বিশে^র বেশ কয়েকটি সমুদ্র বন্দরের জাহাজের যাত্রীরা। বিশাল বিশাল জাহাজগুলোর যাত্রীদের নোঙর করাতে এক বন্দর থেকে আরেক বন্দরে ঘুরতে হয়েছে। শেষতক সব যাত্রী নিজ নিজ দেশের পথে রওনা দিলেও যাত্রীদের সেবায় নিয়োজিত এসব ক্রুরা এখনও পানিতেই ভাসছে। সিএনএন
[৩] জাহাজগুলোর যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনের সময়ে বিনা বেতনে কঠোর পরিস্থিতি সহ্য করতে হয়েছে ক্রুদের। জাপানের প্রমোদ তরী ডায়সন্ড প্রিন্সেসের ক্রু মাশোয়ান মর্টন বলেনানোক জানান, করোনা রোগীর সেবা করেছেন। তারা দেশে ফিরে গেছেন কিন্তু আমাদের কী ঘটছে তা কেউ খোঁজ করে না।
[৪] করোনার কারণে প্রায় দুই মাস রয়েল ক্যারিবিয়ান জাহাজের ক্রুরা সমুদ্রের উপর আটকে আছে। জাহাজ কর্মী আন্ড্রেয়া ক্নিপ জানিয়েছেন, কিছু ক্রুজ শিপ কর্মী তার চেয়ে দীর্ঘ সময় আটকা পড়েছেন। ফক্স ১৮
[৫] গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে, বিশ্বে সমুদ্র পথে আটকা পড়া প্রায় ১ লাখ ক্রুও মধ্যে ৫০ জন করোনা শনাক্ত এবং ১৭ জন মারা গেছে।
ইউএস কোস্ট গার্ডের হিসেবে, বুধবার অবধি মার্কিন বন্দরের আশেপাশে এবং বাহামা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ৭৪ টি ক্রুজ জাহাজে ৫৭ হাজারের বেশি ক্রু অবস্থান করছে।
[৬] মার্কিন পানি সীমায় আটকে পড়া ক্রুজ জাহাজগুলো মার্কিন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থা রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র দ্বারা আরোপিত বিধিবিধানগুলো মেনে চলার বিধান রয়েছে।
[৭] সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) র অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ক্রু সদস্যরা কেবল জাহাজে করেই নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে পারে অথবা চার্টার্ড বিমান বা ব্যক্তিগত যানবাহনে।
আপনার মতামত লিখুন :