লাইজুল ইসলাম : [২] গত ২১ মার্চ থেকে বন্ধ আছে দেশের সকল বিমানবন্দর। বন্ধ আছে উড়োজাহাজ চলাচল। ৭ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত পঞ্চমবারের মতো বাড়ানো হয়েছে বন্ধের সময়সীমা। এই সময়ে কোনো যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালিত হবে না দেশে। শুধু বিশেষ ফ্লাইট ছাড়া।
[৩] বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বেবিচকের চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান জানান, বিমান চলাচলের বিষয়ে আইকা একটা গাইডলাইন দিয়েছে। সেটা আমরা ফলো করছি। সেই অনুযায়ী একটা গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। গাইড লাইনটি বিমান সংস্থা ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে।
[৪] মফিদুর রহমান জানান, আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন আইকার নির্দেশনা অনুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনা করতে হবে। এক্ষেত্রে উড়োজাহাজের এক সিটে বসবেন যাত্রী, পাশের সিট থাকবে ফাঁকা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই ফ্লাইট পরিচালিত হবে- সেটা অভ্যন্তরীণ রুট হোক বা আন্তর্জাতিক রুট।
[৫] বেবিচকের চেয়ারম্যান বলেন, ইতোমধ্যে আইকাও’র নির্দেশনা অনুযায়ী তৈরিকৃত গাইডলাইন নিয়ে দেশের এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় হয়েছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হলে একজন যাত্রীর সঙ্গে অন্যজনের অন্তত তিন ফিট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এজন্য দেশের ফ্লাইট পরিচালনায়ও এমন নির্দেশনা মানতে বলা হয়েছে।
[৬] মফিদুর রহমান বলেন, অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল করলেও উড়োজাহাজের ভেতরে দুজন যাত্রী পাশাপাশি বসতে পারবেন না। যে সিটে যাত্রী বসবেন তার পাশের সিটটি রাখতে হবে ফাঁকা। যদি প্রতি সারিতে তিনটি করে মোট ছয়টি সিট থাকে তাহলে প্রতি সারির মাঝের সিটটি ফাঁকা রাখতে হবে। যদি প্রতি সারিতে দুটি করে চারটি সিট থাকে তাহলে একটি সিটে যাত্রী থাকবে, অপরটি থাকবে ফাঁকা।
[৭] দেশের এয়ারলাইন্সগুলোর কর্তৃপক্ষ বলছেন, বেবিচকের এমন নির্দেশনা অনুযায়ী একটি ফ্লাইটে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ যাত্রী নেয়া যাবে। তবে এয়ারলাইন্সগুলো বলছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটের অধিকাংশই এটিআর মডেলের ছোট উড়োজাহাজ চলাচল করে। এতে পাশাপাশি দুটি সিট থাকে। বেবিচকের নির্দেশনা অনুযায়ী সিট প্ল্যান করলে মোট ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করতে হবে। তবুও আমরা ফ্লাইট চালু করার পক্ষে।
আপনার মতামত লিখুন :