শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ০৭ মে, ২০২০, ০৪:৫৪ সকাল
আপডেট : ০৭ মে, ২০২০, ০৪:৫৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কোমর ব্যথা থেকে দূরে থাকুন

নিউজ ডেস্ক : আমাদের মেরুদণ্ডের কশেরুকাগুলো একটি স্বাভাবিক অবস্থানে থাকে। ওই অবস্থান থেকে সরে যাওয়াই হচ্ছে স্পন্ডাইলোসিসথেসিস। এটি সাধারণত আমাদের লাম্বার স্পাইন বা কোমরে বেশি হয়। লাম্বার স্পাইনের ক্ষয়জনিত কারণে এ কশেরুকার স্থানচ্যূতি ঘটে। আঘাতজনিত কারণ, যেমন-ওপর থেকে পড়লে, পিছলা খেয়ে পড়লে, ভারী কিছু ওঠাতে গেলে ইত্যাদি। কারো কারো ক্ষেত্রে জন্মগত মেরুদণ্ডের ত্রুটি থেকে হতে পারে। তা ছাড়া বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল রোগ, যেমনÑ আর্থ্রাওপোরোসিস, ক্যানসার ইত্যাদি।

উপসর্গ : কোমর ব্যথার ক্ষেত্রে ব্যথা কোমর থেকে পায়ের দিকে যায়। পায়ে ঝিন ঝিন বা অবশ অবশ মনে হয়। রোগী বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না বা বেশিক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে পারেন না। বিশ্রামে বা বিছানায় শুয়ে থাকলে তেমন ব্যথা থাকে না। কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকলে বা হাঁটা চলা করলে ব্যথা বৃদ্ধি পায়। পা দুর্বল হয়ে আসে, অনেক ক্ষেত্রে পায়ের মাংসপেশি শুকিয়ে আসে। কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে প্রস্রাব ও পায়খানায় কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণ থাকে না ইত্যাদি।

চিকিৎসার ক্ষেত্রে এ রোগটিকে তিনভাগে ভাগ করা হয়- গ্রেড ও, গ্রেড ওও এবং গ্রেড ওওও প্রথম দুটি গ্রেডের ক্ষেত্রে ওষুধের পাশাপাশি সম্পূর্ণ বিশ্রাম ও সঠিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া সম্ভব।

কিন্তু গ্রেড ওওও-এর ক্ষেত্রে সার্জিক্যাল চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। চিকিৎসা পরবর্তী কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। যেমন-সামনের দিকে ঝুঁকে ভারী কাজ না করা, ভারী জিনিস না তোলা, শক্ত বিছানায় শোয়া, হাঁটা চলা বা চলাফেরায় ও ভ্রমণের সময় লাম্বার করসেট ব্যবহার করবেন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা কম করবেন। নামাজ চেয়ারে বসে টেবিলে সিজদা দেবেন। চিকিৎসকের নির্দেশিত ব্যায়াম করবেন এবং পরামর্শমতো চলবেন।

লেখক : চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট

ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল

ধানমন্ডি, ঢাকা। ০১৭৮৭১০৬৭০২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়