ইয়াসিন আরাফাত : [২] পরনে শাড়ি। আঁচল দিয়ে ঢাকা পেট– হনহনিয়ে হাঁটছেন প্রসূতি। প্রখর রোদে পিঠ পুড়ছে, পুলিশের চোখরাঙানিতে জল আসছে চোখে। কিন্তু সবকিছুই উপেক্ষা করে হেঁটে চলেছেন বছর বত্রিশের মহিলা। টানা ১২ ঘণ্টা, একভাবে হেঁটেছেন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা নিকিতা। উদ্দেশ্য সব বাধা পেরিয়ে পৌঁছতে হবে নিজের গ্রামে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রে। আজকাল, ইন্ডিয়ান টাইমস, পিটিআই
[৩] মুম্বইয়ের ঘানশোলি থেকে মহারাষ্ট্রের বুলধানা গ্রাম–৪৮০ কিলোমিটার পথ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটায় ২০ জন পরিযায়ী শ্রমিকের দলটি পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করেছে ঘানশোলি থেকে। এই দলে ছোট্ট বাচ্চা থেকে অন্তঃসত্ত্বা নিকিতাও রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে সামান্য কিছু খাবার ও অল্প টাকা।
[৪] নিকিতার জানান, কিছুক্ষণ বসছি। তারপর ফের হাঁটতে শুরু করছি। এখানে থেকে আর কী করব। আমাদের জন্য তো আর জল ও খাবারের বেশি ব্যবস্থা নেই। সব শেষ হয়ে গিয়েছে। ফিরতেই হবে এবার।’
[৫] নিকিতার জিনিসপত্র বয়ে নিয়ে চলা দলের এক যুবক বলেন, ‘একবার বৃষ্টি শুরু হলেই জল ও খাবার পাওয়ার সমস্যা হয়। স্থানীয় থানায় অনুমতির জন্য গেলে জোটে মার।’ এই পরিযায়ী শ্রমিকদের দলটিতে রয়েছেন আরও এক মহিলা। যিনি এক সন্তানকে কোলে এবং অন্যজনকে কাঁধে নিয়ে হেঁটে চলেছেন।
[৬] মুম্বইয়ের অপর একটি পরিযায়ী শ্রমিকের দল সাইকেলে বিহারের দ্বারভাঙ্গায় নিজেদের গ্রামে ফিরছে। ১৫ জনের দলটি মঙ্গলবার রাত তিনটেয় সাইকেলে যাত্রা শুরু করেছে। পেরোতে হবে ২০০০ কিলোমিটার পথ। দলটির এক সদস্য বলছিলেন, ‘১৪ মে–র পর আমাদের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এতদিন থেকে কী করব। খাবারের তীব্র সমস্যা। তাই সাইকেল চালিয়েই ঘরে ফিরছি।’
আপনার মতামত লিখুন :